১৩ হাজার বছর আগের আদিম মানুষের জীবাশ্মে পরিণত হয়ে যাওয়া পায়ের ছাপ উদ্ধার। সম্প্রতি এমনই অবিশ্বাস্য ঘটনার সাক্ষী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস ন্যাশনাল পার্ক। ওই পার্কের শুকিয়ে যাওয়া এক নদীখাতেই দেখা মিলছে ১৩ হাজার বছর আগের পায়ের ছাপ। নৃতত্ত্ববিদরা জানাচ্ছেন, প্রতিটি পায়ের ছাপই পরস্পরের সঙ্গে মিল রয়েছে। এবং ওই সব জীবাশ্মের মধ্যে রয়েছে পূর্ণবয়স্ক এক পুরুষ, প্রাপ্তবয়স্কা এক নারী এবং এক শিশুর পদচিহ্ন। তাঁদের অনুমান, মানুষগুলি খুব তাড়াহুড়ের মধ্যে ছিলেন।

এমন অনুমানের কারণ হিসেবে তাঁদের যুক্তি, আদিম পুরুষ এবং নারীর প্রতি সেকেন্ডে পদক্ষেপের গতি ছিল ১.৭ মিটার। ধীরে-সুস্থে হাঁটলে যা হওয়ার কথা প্রতি সেকেন্ডে ১.২ মিটার; বড়জোর ১.৫ মিটার। তাঁদের আরও দাবি, দম্পতির পায়ের ছাপের মাঝে আচমকাই এক শিশুর পায়ের ছাপও দেখা গিয়েছে। এ থেকে তাঁদের অনুমান– হয়তো মা ক্লান্ত হয়ে শিশুটিকে কিছুক্ষণের জন্য কোল থেকে নামিয়েছিলেন। তবে কিছুপরেই উধাও হয়ে যায় শিশুটির পায়ের ছাপ। সে কারণের যুক্তি হল সেহেতু সেসময় ভয়ঙ্কর প্রাণীদের আনাগোনা ছিলো তাই হয়তো সুরক্ষার জন্য শিশুটিকে নিরাপদ কোনও আশ্রয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন বাবা-মা। শিশুটিকে হয়তো নিরাপদ কোনও জায়গায় লুকিয়ে রেখে ফের আগের জায়গায় ফিরে গিয়েছিলেন আদিম দম্পতি। তাই ফেরার পথে আর শিশুটির পায়ের ছাপ দেখা যায়নি।