গত মঙ্গলবার নতুন সরকার গঠন করেছে তালিবানরা। কিন্তু এখনই সেই সরকারকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ আমেরিকা। এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠকে প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি জানান, “আগে ওদের অনেক কিছু প্রমাণ করে দেখাতে হবে। আপাতত যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে আটকে থাকা বৈধ মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরানোটাই সবথেকে জরুরি।” আটকে থাকা মার্কিনীদের দেশে ফেরাতে সর্বদাই তালিবানদের সাথে যোগাযোগ রাখছে আমেরিকা। বিশ্বের কাছে তালিবানরা সম্মান অর্জন করেছে বলে মনে করেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট বা জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
তালিবান সরকারের প্রতি নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে হোয়াইট হাউস জানিয়েছেন যে এই তালিবদের এই সরকারে রয়েছে ৪ জন জেল খাটা জঙ্গি যা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। ফলে এই সরকারকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেবে না আমেরিকা।
হাক্কানি গোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিয়েই নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছে তালিবানরা এমনটাই মত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে কট্টর ভারত বিরোধী বলে পরিচিত হাক্কানি গোষ্ঠীর প্রধান সিরাজুদ্দিন হাক্কানিকে।
পাশাপাশি হাক্কানি নেটওয়ার্কের আরও ৩ জন ঠাঁই পেয়েছে এই মন্ত্রিসভায়। প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোল্লা হাসান আখুন্দ। উপ-প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে নিয়োজিত হয়েছেন আবদুল গনি বরাদর। এই সমগ্র মন্ত্রিসভায় যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে বিশ্বের জন্য।
কিন্তু কোনো দেশকে তোয়াক্কা না করেই উল্টো পথে হেঁটে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে চিন। বেজিংয়ের নয়া ঘোষণা, তিন সপ্তাহের নৈরাজ্যের অবসানের পর নতুন সরকারকে স্বাগত। এর সাথে এও জানানো হয়েছে যে আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা ঘামাবে না চিন। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিনের দাবি আফগানিস্তানের সাথে স্থায়ী বিদেশনীতি চায় বেজিং। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় আফগানিস্তানের নয়া পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেবে ব্রিকস-ভুক্ত দেশগুলি। উপস্থিত থাকবেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও।