আফগানিস্তান এবং পঞ্জশিরের ভয়াবহ লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে আমরুল্লা সালেহর দাদা রহুল্লা সালেহর। জানা যাচ্ছে ভয়াবহ জঙ্গিগোষ্ঠী তালিবানদের নৃশংস অত্যাচারে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। আফগানিস্তানের প্রাক্তন উপরাষ্ট্রপতির দাদা হয়েও তালিবানদের নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। জানা যাচ্ছে শুধু নৃশংসভাবে হত্যা করে শান্তি হয়নি তালিবানদের। তারপর তাঁর মৃতদেহকে পচে গলে নষ্ট হওয়ার জন্য ছেড়ে গিয়েছিল তারা। মৃত্যুর পর কবরে যাওয়াই স্বাভাবিক নিয়ম ইসলামে ।তবে জেহাদিদের বিরুদ্ধাচারণ করলে যে এই সামান্যটুকু ভাগ্যে জোটে না তাঁর প্রকৃষ্ট প্রমাণ দিল তালিবানরা। আর তালিবানদের এই ঘৃণ্য অপরাধ সামনে নিয়ে এল, সালেহর ভাইপো এবাদুল্লা। এবাদুল্লাহ জানিয়েছেন মৃত্যুর পরে রহুল্লার দেহকে কবর দিতে দেয়নি তারা। তারা বলেছিল ‘ওঁর দেহ পচে যাওয়াই উচিত’।
গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। তারপর থেকেই ভয়াবহ নৃশংসতার যুদ্ধ চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে গোটা দেশ দখলের আসলেও পঞ্জশির এখননও দখলে আসেনি। তাই নর্দান এলায়েন্সের সঙ্গে ভয়াবহ যুদ্ধে মাত্তে হয়েছিল তালিবানদের। আর সেখানেই মৃত্যু হয় আমরুল্লা সালেহর দাদার। বর্তমানে পঞ্জশির নিজেদের দখলে নিয়েছে বলে দাবি করেছে তালিবানরা। ওদিকে নর্দান অ্যালায়েন্সের দাবি বর্তমানে সীমানায় ভয়াবহ যুদ্ধ চললেও এখনও পর্যন্ত তালিবানদের দখলে যায়নি পঞ্জশির।এমনকি বেশকিছু তালিবান ইতিমধ্যেই আত্মসমর্পণ করেছে নর্দান অ্যালায়েন্সের সামনে।