কৃষক বিক্ষোভ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিদেশে । বিদেশে থাকা বহু ভারতীয় এই আন্দোলনের সমর্থনে বার বার এগিয়ে এসেছেন । একে একে বহু পরিচিত ব্যক্তিত্বকেও সমর্থনে এগিয়ে আসতে দেখতে পাওয়া গেছে । আগেই বিশ্ব বিখ্যাত পপ গায়িকা তথা অভনেত্রী রিহানা এই বিক্ষোভের সমর্থনে একটি ট্যুইট করেছিলেন । যেখানে তিনি লিখেছিলেন – ‘আমরা কেন এই বিষয়ে কথা বলছিনা ?’ । এর পর কঙ্গনা রানাউত এর প্রত্যুত্তরে লেখেন- “কেউ এ নিয়ে কথা বলছে না কারণ তারা কৃষক নয় তারা সন্ত্রাসবাদী যারা ভারতকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে যাতে চীন আমাদের দুর্বল ভাঙ্গা দেশটিকে দখল করতে পারে এবং আমেরিকার মতো এটিকে একটি চীনা উপনিবেশ তৈরি করতে পারে … আপনি বোকা হয়ে বসে থাকুন, আপনার মত ডামি হয়ে আমরা আমাদের জাতিকে বিক্রি করবনা,” ।
এই ঘটনার রেষ কাটতে না কাটতেই ফের ভারতীয় কৃষকদের সমর্থনে ট্যুইট করতে দেখা গেল পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গকে । দিল্লিতে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শামিল কৃষকদের প্রতি নিজের সমর্থন প্রকাশ করে #FarmersProtest উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, “ভারতে কৃষকদের প্রতিবাদকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি।” দিল্লি সীমান্তে আন্তর্জাল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার একটি প্রতিবেদনকে সামনে রেখে এই পোস্টটি করেন তিনি ।
কেন্দ্রের নয়া তিন কৃষি আইনের প্রতিবাদেই কৃষকরা রাস্তায় নেমেছেন । এই আইনের বিরোধিতায় ইতিমধ্যেই ভারত বন্ধ থেকে শুরু করে কয়েক দফায় ট্রাক্টর র্যালিও করেছে কৃষক সংগঠনগুলি । বেশ কয়েক দফায় বসেছে কেন্দ্র-কৃষক বৈঠকও । যদিও এখনও তাতে কোন সুরাহা মেলেনি । ওদিকে ৬ ফেব্রুয়ারি পুরো দেশে ফের চাক্কা জামের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোনকারী কৃষকরা । তাঁদের রুখতে তৎপর প্রশাসন । নেওয়া হয়েছে বহু ব্যবস্থা । হাইওয়েতে দুটি কংক্রিটের বেরিয়ারের মাঝের জায়গা সিমেন্ট দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে, কাঁটাতারের পাশাপাশি রাস্তায় বসানো হয়েছে লোহার পেরেক, হাইওয়ের নীচের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে, জায়গায় জায়গায় বসেছে পুলিশি ক্যাম্প, ফ্লাইওভার থেকে শুরু করে নীচের রাস্তাও পুরোপুরিভাবে অবরুদ্ধ করা হয়েছে, ব্যারিকেডের গায়ে বসানো হয়েছে লোহার অ্যাঙ্গেল । এই আন্দোলন সভাবতই কেন্দ্রের গলায় কাঁটার মত বিঁধে রয়েছে ।