বিজেপি ক্ষমতায় আসলে কে হবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে তুমুল চর্চা এখন রাজ্য জুড়ে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে এখনো প্রকাশ করা হয়নি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম। আজ প্রথম দফার নির্বাচনের আগে কাঁথির জনসভা থেকে নরেন্দ্র মোদীর বক্তব্য সেই সমস্ত জল্পনা আরো উসকে দিল বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। নরেন্দ্র মোদী বলেন,”সোনার বাংলার দায়িত্বে থাকবে এখানকার ভূমিপুত্রই”। কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্য কী তবে গেম চেঞ্জার হতে চলেছে বঙ্গ রাজনীতিতে ?
বাংলায় কাকে মুখ্যমন্ত্রী করবে বিজেপি তা নিয়ে জল্পনা বহুদিনের। প্রথমে সৌরভ গাঙ্গুলির নাম উঠে আসলেও সৌরভ এখনো পর্যন্ত যোগ দেননি রাজনীতিতে।অন্যদিকে সম্প্রতি মিঠুন চক্রবর্তীর বিজেপির ব্রিগেড মঞ্চে যোগদান নিয়ে নতুন জল্পনার সৃষ্টি হয়। প্রশ্ন উঠেছিল তাহলে কি মিঠুন চক্রবর্তীকে বঙ্গ বিজেপির মুখ হিসেবে দাঁড় করাতে চায় বিজেপি ? পাশাপাশি মিঠুনের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তবে শেষ পর্যন্ত ভোট ময়দানে অংশ নেননি “মহাগুরু”।
অন্যদিকে, খড়গপুর সভা থেকে নরেন্দ্র মোদী উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন দিলীপ ঘোষের। প্রধানমন্ত্রীর তরফে দিলীপের প্রশংসা নিয়েও জল্পনা কিছু কম সৃষ্টি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কাঁথিতে অধিকারী গড়ে উপস্থিত হয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন,”বাংলার দায়িত্ব থাকবে এখানকার ভূমিপুত্রর ওপরেই”। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। এমনকি মোদীর এদিনের এই বক্তব্য যে একপ্রকার জল ঢালল বাকি সমস্ত জল্পনায় তাও আর বলে দিতে হয়না।
বাংলার ভূমিপুত্রকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে এ বিষয় নিয়ে আগেই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। তবে নির্বাচনের পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি পদ্ম শিবির। ২ মে অর্থাৎ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই তা ঠিক হবে। কিছুদিন আগে বাকুড়ায় ভোট প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকরি জানিয়েছিলেন,”২ মে পরিবর্তন হবে বাংলায়”। “পদ্মফুলের জয় হবে, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে এবং ৩ মে আমাদের নেতা নির্বাচিত হবেন। ৪ মে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন”। কেউ আটকাতে পারবেন না”।