আজ বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ-পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠান হয় আর তাতেই ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজ সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা অবধি চলে এই অনুষ্ঠান যেখানে প্রায় সকাল ১১ টা নাগাদ প্রধানমন্ত্রী ভাষণ রাখেন । এই অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। মোদি বলেন, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চিন্তাদর্শন, স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে দেশকে প্রেরণা দেওয়ার জায়গা বিশ্বভারতী। যে যে মহান ব্যক্তিত্বকে তৈরি করেছে এ বিদ্যালয় তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি শহিদ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বোস থেকে শুরু করে প্রফুল্ল চাকি-সহ বহু বাঙালি বিপ্লবীর অনন্য সাধারণ কীর্তির কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী ।

করোনা আবহে এ-বছর পৌষ মেলা না হওয়ার জন্যে শোক প্রকাশ করেন তিনি । এই নিয়ে তৃতীয় বার ১০০ বছরে এই মেলা না হওয়ায় বহু ক্ষুদ্র শিল্পীরা বিপদে পড়েছেন, তাঁদের সাহায্যে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিশ্বের দরবারে কিভাবে তাঁদের প্রস্তুত করা হাতের কাজ তুলে ধরা যায় তার পথ তৈরি করার কথা ভাবেন । দেশকে আত্মনির্ভর করার কথা আসতেই তিনি কবিগুরুর কথা বলেন । তিনি বলেন, “লক্ষ্যে পৌঁছতে গুরুদেবের দেখানো পথেই একলা চলতে হবে।” নরেন্দ্র মোদি বলেন বিশ্বভারতীর শিক্ষাদর্শেই আজ হাঁটতে চাইছে দেশ। তাঁর কথায়, “শান্তিনিকেতন হোক বা শ্রীনিকেতন গুরুদেবের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে চলেছে শতবর্ষ ধরে। গুরুদেবের গ্রামোদয়ের আজ গোটা বিশ্বে চর্চিক। এখানে যে যোগ প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে শিক্ষার চিন্তা বিশ্বভারতীতেই প্রথম দেখা গিয়েছে। সেই বার্তাই বিশ্বকে আজ পৌঁথে দিচ্ছে আমাদের দেশ। গোটা বিশ্বে একমাত্র দেশ ভারত যাঁরা প্যারিস চুক্তি মেনে কার্বন নিঃসারণ মাত্রা কমাতে পারছে।”