
দেশ জুড়ে চলছে কৃষি বিক্ষোভ । এবার ১৪ই ডিসেম্বর দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে বসে অনশন আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষকরা। কৃষি আইনে যোগ দিয়েছেন একের পর এক রাজনৈতিক দল এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও । বলা যেতে পারে প্রায় কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকারকে কোনঠাসা করে দেওয়া হয়েছে এই নয়া কৃষি আইনের কারণে । কৃষি আইনটিকে বেসরকারি সংস্থার জন্য বানানো হয়েছে এমন দাবিতে অনড় সারা ভারতের কৃষক সভার নেতৃত্বে চলা কৃষক সংগঠনগুলি। ১৭ দিন ধরে চলা এই বিক্ষোভে প্রায় ১২ লক্ষ কৃষক অবরোধ ও ঘেরাওয়ে সামিল হয়েছেন । জারি রাখা হয়েছ দেশ জুড়ে রেল রোকো ও টোল প্লাজা অবরোধ ।

যতদিন না কেন্দ্র এই আইন প্রত্যাহার করে ততদন ধরে এই বিক্ষোভ চলবে, চলবে অবরোধ, চলবে ঘেরাও অভিযান, চলবে রেল রোকো ও টোল প্লাজা অবরোধও বলেই হুমকি দিয়েছে আন্দোলনকারীরা । দেশের নানা অংশ থেকে আরও বহু কৃষকরা এই আন্দোলনে যোগ দিতে আসছেন বলেও জানানো হয়েছে । ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের ডাকা ভারত বনধের জের এখনও কাটেনি । রীতিমত অস্বস্তিতে মোদী সরকার । গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। আইনের গুরুত্ব এবং উপকারিতা নিয়েও কথা বলেন । কিন্তু, কোন কিছুতেই কোন লাভ হয়নি । আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় কৃষকরা । আজ ১৩ ডিসেম্বর রাজস্থানের শাহজাহানপুরে সকাল ১১টা থেকে ট্রাক্টর মার্চ করার কর্মসূচি রয়েছে বিক্ষোভকারীদের । এর পরেই আগামীকাল অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর দিল্লির সিঙ্ঘু সীমান্তে বসে অনশন আন্দোলনের ডাক দিলেন তাঁরা ।