দীপাবলীর দিনই ত্রিপুরার বিধায়কদের মাথায় হাত। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় বিধায়কদের পেনশন এবং অন্যান্য ভাতা সম্পর্কিত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হল ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের তরফে। জানা যাচ্ছে, এখন থেকে পাঁচ বছরের বিধায়ক পদের মেয়াদ পূর্ণ না করা হলে মিলবে না কোনও ভাতা। ভোটে জয়লাভ করে বিধায়ক পদের নাম লেখান অনেকেই তবে নানা কারণে নিজের বিধায়ক পদ ত্যাগ করতে দেখা যায় বহু নেতাদের। তবে এবার থেকে নিজের বিধায়ক পদের পাঁচ বছর পূর্ণ না করতে পারলে কোনওরকম সরকারি পেনশন দেওয়া হবে না তাঁকে, এমনটাই জানাল ত্রিপুরা সরকার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বামেদের সময়কালে অন্তত এই পেনশনের আওতাভুক্ত হতে গেলে ন্যূনতম ৪ বছর এই পদে থাকতে হত উক্ত বিধায়কদের। তবে বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে সেই সময়কাল মাত্র একদিন করে দেয়। বর্তমানে আবারও এই সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ঘটানো হল বলেই জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরা তথ্য সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানান , বিধায়কের নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,” এখন থেকে সমস্ত বর্তমান বিধায়ককে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে। ভবিষ্যতে যাঁরা ভোটে জিতে বিধায়ক হবেন, তাঁদেরও পেনশন এবং অন্যান্য ভাতা পেতে এই নিয়ম পালন করতে হবে।’’ উল্লেখ্য গত রবিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতে যোগ দিয়েছেন বিজেপির বিধায়ক আশিস দাস। আর তারপরই ত্রিপুরা সরকারের এই নীতি নিয়ে স্বভাবতই কটাক্ষের শিকার হতে হচ্ছে ত্রিপুরা সরকারকে। তাহলে কি নিজেদের দলের বিধায়কদের ক্রমাগত দলত্যাগে ভয় পেয়ে এই সিদ্ধান্ত নিলেন বিপ্লব দেব? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে সাধারণ মানুষের।