রণকেন্দ্র হয়ে রয়েছে বিশ্বভারতী । গত পাঁচদিন ধরে নিজের ঘর থেকে বেরোতে পারেননি উপাচার্য। এমনকি প্রয়োজনীয় খাবারটুকু গ্রহণ করতে পারেননি তিনি।আর এবার সেই অচলাবস্থা কাটাতেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। ফাইনাল বর্ষের ছাত্র ছাত্রীরা এখনও তাঁদের শংসাপত্র পায়নি। নবীন ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশিকা পরীক্ষা আটকে আছে। বিশ্বভারতীর এই অচলাবস্থা কাটাতে এবার আদালতের সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন জানালেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য গতকাল প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। সেখানে তিনি এও জানিয়েছেন , নির্দিষ্ট সময়ে নিজের খাবারটুকু গ্রহণ করতে পারছেন না তিনি। তার খাবারের জন্য যারা খাদ্য সামগ্রী নিয়ে বিশ্বভারতীতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল, তাদের ফিরিয়ে দেয় ছাত্রছাত্রীরা। এক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি তাদের তরফ থেকে তাঁকে দুবেলা খাবার পাঠানো হচ্ছে। তাহলে আলাদা করে আর কিসের খাবার প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে খাবার হিসেবে প্রতিদিন সকালে দুধ-কলা-পাউরুটি আর সন্ধ্যায় মুড়ি-আলুর দম-কাঁচালঙ্কা পাঠানো হচ্ছে উপাচার্যকে। যদিও সেক্ষেত্রে তা গ্রহণ করতে নারাজ তিনি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বিশ্বভারতীর ৩ ছাত্রছাত্রীকে আগামী তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করার প্রতিবাদে এই আন্দোলন শুরু করে ছাত্র ছাত্রীরা। জানা যায় ওই তিন ছাত্র ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের অর্থনীতি বিভাগের একটি ঘরের তালা ভাঙ্গার অভিযোগ রয়েছে। আর তাঁদের বহিষ্কারের নোটিশ দেওয়া মাত্রই উপাচার্যের ঘরের সামনে স্টেজ বেঁধে আন্দোলনে নামেন ছাত্রছাত্রীরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সর্বপ্রথম কংগ্রেসের তরফ থেকে এই আন্দোলন শুরু করা হয় । আগামীদিনে তৃণমূলের তরফ থেকেও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।