দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ! নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি আজই। আজ হাইকোর্টে বেলা ১১ টায় নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি হতে চলেছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে শুভেন্দু অধিকারীর জয়লাভকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে আবেদন দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, আজ বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে ওই শুনানি হওয়ার কথা। এই মামলাকে কেন্দ্র করে হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
হাইকোর্ট সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ১৯৫১ সালের জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ৮০, ৮০এ, ৮১, ১০০ এবং ১২৩ ধারায় মামলা করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি অভিযোগে জানানো হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী নিজেকে জয়লাভ করাতে ঘুষ দিয়েছেন। এছাড়াও জনগণের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়িয়ে ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি এবং রাজ্যের বর্তমান অবস্থাকে সরগরম করাতে মদত দিয়েছেন। এমনকি ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এছাড়া সরকারি আধিকারিকদের সাহায্যে বুথে প্রবেশ করেছেন তিনি।
মূলত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের ফল প্রকাশের ক্ষেত্রে, রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।মূলত ভোট গণনার সময় হঠাৎ করেই দু ঘন্টার জন্য সার্ভার ডাউন হয়ে যায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের। ফলে আপডেট ফলাফল দেখতে পাননি সাধারন মানুষ, আর এই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে ইতিমধ্যেই। তবে সেই কারণেই পুনর্গণনার দাবি জানিয়েছিলেন সেই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী।তবে কোনো কারণ না দেখিয়েই সেই আর্জি খারিজ করে দেন রিটানিং অফিসার, এবং ২১ সি ফর্মে সই করে শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করে দেন। আইনজীবীদের তথ্য অনুসারে জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের ১০০ ধারা অনুযায়ী, নন্দীগ্রাম কেন্দ্রের ভোটকে বাতিল ঘোষণা করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তবে আজকের মামলার শুনানির পর এই রায়টি কোন দিকে যাবে সে নিয়ে চিন্তিত উভয়পক্ষই। নন্দীগ্রাম কেন্দ্র নিয়ে টানাপোড়েন চলছে এখনও। আগামী দিনে সেখানে কি পুনর্গণনা হবে নাকি পুনর্নির্বাচন ?প্রশ্ন থাকছে এখানেই।