‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’-এর পর এ বার জাতীয় সঙ্গীতের আদলে তৈরি হবে রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত। বিধানসভায় এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, “বিভিন্ন রাজ্যের নিজস্ব সঙ্গীত রয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তেমন কোনও সঙ্গীত নেই। একটা জাতীয় সঙ্গীত গোটা দেশের জন্য প্রযোজ্য। তবে অন্য রাজ্যের ক্ষেত্রে নিজের সঙ্গীত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে এমন যদি কোনও সঙ্গীত হয়, তা হলে ভালই হয়।” বিধানসভা সূত্রে খবর, এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বেশ কয়েকটি গানও মাথায় এসেছে কর্তৃপক্ষের। তবে এখনই এই বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তাঁরা। বিধানসভা সূত্রে খবর, ‘রাজ্য সঙ্গীত’ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কমিটি গঠন করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ছত্তীশগঢ়, গুজরাত, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মণিপুর, ওড়িশা, পুদুচেরি, তামিলনাড়ু ও উত্তরাখণ্ডের মতো রাজ্যগুলির ‘রাজ্য সঙ্গীত’ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সে ভাবে বাংলারও ‘রাজ্য সঙ্গীত’ থাকা প্রয়োজন বলেই মনে করেছেন স্পিকার। ঘটনাচক্রে, সোমবার বিধানসভায় পশ্চিমবঙ্গ দিবস নির্ধারণ কমিটি ১ বৈশাখকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসেবে অনুমোদন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে। কমিটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তা অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তিনি অনুমোদন দিলেই আগামী বছর থেকে রাজ্যে পালিত হবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁর মতামত জানা যায়নি।
অন্যদিকে, রাজ্য বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছিল ২০ জুন। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ওইদিন রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছিলেন। তা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানানোর পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এখন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করতে তৎপর। তবে ২০ জুন নয়, তিনি পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের পরিকল্পনা নিয়েছেন অন্য দিনে। বিকল্প দিন বেছে নিয়েই সেই তারিখকেই পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে সিলমোহর দিতে চাইছেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ১ বৈশাখকে বেছে নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে। বাঙালিরা এই দিনটিতে একেবারে নিজেদের দিন বলে মনে করে। তবে শুধু ১ বৈশাখকেই নয়, পশ্চিমবঙ্গ দিবসের দিন নিয়ে আরও অনেক তারিখকেই বাছাই করা হয়েছে। আলোচনা হয়েছে ১৫ অগাস্ট নিয়ে। আবার ২৮ মে দিনটিকেও পশ্চিমবঙ্গ দিবস হিসেবে পালন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কারণ ওইদিন পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলের প্রস্তাব করা হয়েছিল।