পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে দৃষ্টি আকর্ষণ করল কলকাতা হাই কোর্ট। এ ব্যাপারে রাজ্য এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। সোমবার সকালেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে সুপ্রিম কোর্টে এ সংক্রান্ত আবেদন পেশ করা হয়। শীর্ষ আদালতকে কমিশন বলে, “কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া আমাদের কাজ নয়। পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার বিষয়টি দেখে। রাজ্য। পরে রাজ্যের তরফেও এই বিষয়টি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।” মঙ্গলবারই মামলাটির শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। রাজ্যের হয়ে মামলার উল্লেখ করেন সিনিয়র আইনজীবী মীনাক্ষী অরোরা।
মনোনয়ন জমা ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসতে শুরু করে। বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনেন বিরোধীরা। রাজ্যের একাধিক জায়গায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। কোন কোন জেলাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর, তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। মূলত, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। সেই মোতাবেক বাহিনী পাঠাবে কেন্দ্র।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/06/IMG-20230619-WA0001.jpg)
গত শুনানিতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সওয়াল করা হয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য রাজ্য থেকে ১৫ ব্যাটেলিয়ন পুলিশ কর্মী চাওয়া হয়েছে। কিন্তু মনোনয়ন জমার সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক সর্বত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়নি বলেই অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার একেবারে প্রাথমিক ধাপেই গত ১০ দিনে রাজ্যে ৭টি খুনের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। গোটা বিষয়টিতে কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিরোধীরা। মঙ্গলবার এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।