নন্দীগ্রাম রাজ্য রাজনীতির ‘হটস্পট’। নন্দীগ্রামকে ঘিরে একের পর এক ঘটনা, বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তোলপাড় গোটা রাজ্য। কিন্তু একটি মৃত্যুর ঘটনা হঠাৎ করেই বদলে খানিকটা বদলে দিল সেই ছবিটাকে। অপ্রত্যাশিত ভাবে আবারও চর্চার কেন্দ্র বিন্দু হয়ে দাঁড়ালো উত্তর চব্বিশ পরগনার নিমতা। রবিবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় নিমতার বিজেপি কর্মীর মা শোভা মজুমদারের।

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি উত্তর দমদম পুরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের নিমতা পাটনা স্কুল রোডের বাসিন্দা শোভা মজুমদারকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত বৃদ্ধার ছেলে বিজেপি কর্মী গোপাল মজুমদার অভিযোগ করেছিলেন তিনজন তৃণমূল কর্মী তাঁদের বাড়িতে জোর করে ঢুকে পড়ে তাঁকে বন্দুকের বাঁট দিয়ে মারধর করছিল। সেই সময়ই গোপালবাবুর মা অভিযুক্তদের বাধা দিতে এলে অশীতিপর বৃদ্ধা মাকেও বেধড়ক মারধর করে শাসকদলের ওই কর্মীরা। সেই প্রহারের জেরেই বেশ কিছুদিন গুরুতর অসুস্থ থাকার পর রবিবার রাতে মারা যান শোভা মজুমদার।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি ট্যুইট করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। তারই উত্তরে নন্দীগ্রামের ঠাকুরচকের সভা থেকে শাহকে পাল্টা তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন “নিমতায় মহিলার মৃত্যুর পর প্রশ্ন করছেন, বাংলার কী অবস্থা? আপনাদের উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির কী অবস্থা? আপনি হাথরাসের সময় কোথায় ছিলেন? তখন কি চোখে ফেট্টি বেঁধেছিলেন?”

কার্যতই নিমতায় ওই বৃদ্ধার মৃত্যুর পর তৃনমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে আবার সরব হয়েছে বিজেপি। নিমতা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান বিজেপির নেতা কর্মীরা।
এইদিন অমিত শাহ ট্যুইট করে লেখেন “বাংলার মেয়ে শোভা মজুমদারের মৃত্যুতে শোকার্ত। তৃণমূলের গুন্ডাদের মারে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এই পরিবারের দুঃখ, ব্যথা মমতা দিদিকে দীর্ঘদিন ভাবাবে।” এই ঘটনার নিন্দা করে শুধু অমিত শাহ ই নন, ট্যুইট করেছেন জেপি নাড্ডা, অরবিন্দ মেনন, অমিত মালব্যর মতন বিজেপির একাধিক শীর্ষ নেতানেত্রী। সবারই অভিযোগের তীর তৃনমূল সরকারের দিকে। আর নন্দীগ্রাম থেকে এরই উত্তর দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।