রাজ্যের প্রথম দফার ভোট সাতাশে মার্চ মাঝে আর তিনটে মাত্র দিন। চূড়ান্ত ব্যস্ততা নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলি নেমে পড়েছেন যুদ্ধের ময়দানে আর ঠিক তার আগেই আজ বাঁকুড়ার সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বছরে ৫ লক্ষ্য টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যসাথী খাতে পেতে পারেন বাড়ির মহিলা অভিভাবকেরা তড়িঘড়ি কার্ড করার নির্দেশ দিলেন তিনি। সামান্যতম জমি নিজের নামে থাকলেও পেতে পারেন কৃষক বন্ধু কার্ড শুধু নিজের নাম সহ জমির ঠিকানা লিখে দিলেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা এমনটাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । শুধু তাই নয় সেখানেই চাকুরী নিয়ে বড় ঘোষণা করলেন তিনি। বললেন বিরোধীদের অন্যায় ধরিয়ে দিতে পারলে একটা পুরস্কার , একটা সরকারি চাকরি ।

পাশাপাশি প্রত্যেক স্টুডেন্টদের জন্য তৈরি করা হবে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড। যার মাধ্যমে উচ্চতর শিক্ষা লাভ করতে পারবে বাংলার মধ্যবিত্ত থেকে নিম্নবিত্ত সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীরা। আজ কাঁথির সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, মাতঙ্গিনী হাজরা, ক্ষুদিরাম বোসের বাংলায় কেউই বহিরাগত নয় । আর সেই হুঙ্কারের পাল্টা হুংকার দিয়ে বিষ্ণুপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দিলেন কাকে এবং কেন বহিরাগত সম্বোধন করেন বাংলার মেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন দেশের বিভিন্ন রাজ্যের যে সমস্ত মানুষ বাংলায় থাকেন তাঁদেরকে তিনি কখনই বহিরাগত মনে করেন না বরং বঙ্গ নির্বাচনের আগে কিছুদিনের জন্য যারা বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলায় সভা করতে আসেন তাঁদেরকেই বহিরাগত বলেছেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বললেন বাংলায় থাকা রাজস্থানী, হারিয়ানি মানুষদের বহিরাগত বলা হয় না ,বহিরাগত বলা হয় কেবলমাত্র গুজরাট দিল্লি থেকে গেরুয়া বস্ত্র পরিধান করে যারা বাংলায় আসে তাঁদেরকেই।