প্রকাশিত হল নীতি আয়োগের দারিদ্র্যসীমার রিপোর্ট । রিপোর্ট অনুসারে বেহাল দশা বিহারের । দেশের সর্বাপেক্ষা দরিদ্রতম রাজ্য হল বিহার, তারপরই নিজের জায়গা করে নিয়েছে ঝারখান্ড এবং উত্তর প্রদেশের মত রাজ্যগুলি। জানা যাচ্ছে, দারিদ্র্যসীমার নিরিখে ইতিমধ্যেই তৃতীয় স্থানে রয়েছে যোগী রাজ্য। নীতি আয়োগের প্রথম বহুমাত্রিক দারিদ্র সূচক অনুসারে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে । উত্তরপ্রদেশের পরেই নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে মধ্যপ্রদেশ এবং মেঘালয়ের মত রাজ্যগুলি। মূলত মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে একটি নির্দিষ্ট শিক্ষাবর্ষ বঞ্চিত ছাত্র- ছাত্রীদের হার এবং স্কুলের উপস্থিতি এবং রান্নার জ্বালানির মত বেশ কয়েকটি সূচকের উপর নির্ভর করে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সূচক গুলির উপর ভিত্তি করেই এই তালিকায় প্রথম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিহার।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিহারের মোট জনসংখ্যার ৫১.৯১ শতাংশই দরিদ্র সীমার নিচে। তালিকা অনুসারে বিহারের পরে স্থান করে নিয়েছে ঝাড়খন্ড। ঝাড়খন্ডের দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের পরিমাণ ৪২.১৬ শতাংশ। দারিদ্র্যসীমার দিক থেকে পিছিয়ে নেই যোগী রাজ্যও। উত্তরপ্রদেশে দারিদ্রতার হার ৩৭.৭৯ শতাংশ। রাজ্যগুলির পাশাপাশি দারিদ্র্যসীমার নিচে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গুলোতে দারিদ্র সূচকের উপর নির্ভর করে সর্বাপেক্ষা দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে দাদরা নগর হাভেলি। সেখানে দারিদ্রতার মাত্রা ২৭.৩৬ শতাংশ। পাশাপাশি দমন ও দিউয়ে ৬.৬২ শতাংশ।