গ্রেফতার হলেননা মুকুল-শুভেন্দু, রাজনৈতীক প্রতিহিংসা নাকি প্রমানের অভাব ? নারদা কান্ডে গ্রেফতার রাজ্যের ৪ হেভিওয়েট নেতা যাঁদের মধ্যে দু’জন এই মুহূর্তের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়, আর বকি দুই জনের মধ্যে রয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় যিনি কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগদান করেন তবে ভোট চলাকালীন কোন দায়িত্ব তার ছিলনা । এই চারজনকে আজ সকালে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সেখান থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে সিবিআই আধিকারীকরা । সিবিআই এর এই পদক্ষেপে কার্যত ক্ষুব্ধ তৃণমূল । তাঁদের বক্তব্য, একই মামলায় জড়িয়ে রয়েছেন তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া দুই নেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় । তবে তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি । একই প্রশ্ন নিয়ে মুখ খুলেছেন ম্যাথু স্যামুয়েল । যদিও এই প্রশ্নের উত্তরে রাহুল সিনহা স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘সিবিআই তদন্ত করছে, যেভাবে তদন্ত এগবে সেরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যাঁদের বিরুদ্ধে যোগ্য প্রমান পাওয়া গেছে তাদেরকি আটক করা হয়েছে, যদি এর পরেও সিবিআই কোন পদক্ষেপ নিতে চায় নেবে’ ।
অন্যদিকে সিবিআই সূত্রের খবর, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রমাণ রয়েছে তাঁদের কাছে তাই তাঁরা এই পদক্ষেপ নিয়েছেন, বাকিদের বিরুদ্দে যথাযথ প্রমান পাননি তাঁরা । উল্লেখ্য, ২০১৯ এ এই ঘটনার তদন্ত করার সময়ে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী লোকসভার সদস্য থাকা কালীন লোকসভার স্পীকারের কাছে সিবিআই-এর তরফে চিঠি দে’অয়া হলেও লোকসভার তরফে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি সেই সময় । তবে কি এর পেছনেও কোন গোপন অঙ্ক লুকিয়ে আছে বা কোন রাজনৈতীক প্রেক্ষাপট ? জাচাই করেনি ‘এম ভারত’ । ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে রীতিমত তাঁকেও গ্রেফতার করা হোক এমনটাই দাবী নিয়ে বসে রয়েছেন । বেআইনি ভাবে এই চার নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই তাই তাঁকেও গ্রেফতার করতে হবে এমনটাই বক্তব্য তাঁর । যদিও এই বিষয়ে তদন্তকারী আধিকারীকরা এখনও কিছু জানাননি ।