পনেরো বছরের কিশোরীকে ধর্ষণে মিলিত ২৯ জন! এমনই নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকলো মহারাষ্ট্র। জানা যাচ্ছে, এবছরের জানুয়ারি থেকে ২২সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গত ন’মাস ধরে টানা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিশোরী। ধর্ষণকারীদের মধ্যে রয়েছে দুই নাবালকও। লাগাতার ধর্ষিতা হওয়ার পর শেষপর্যন্ত অত্যাচারে বিধ্বস্ত কিশোরী নিজেই থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় থানের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দত্তরায় কারালে জানিয়েছেন, “নির্যাতিতা নিজেই থানায় এসে গত ন’মাসে তার উপরে হওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিয়েছে। সে ২৯ জনের নাম করেছে। তাদের মধ্যে দু’জন নাবালক। এবছরের জানুয়ারি থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার উপরে নির্যাতন চালিয়েছে অভিযুক্তরা।”
কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর মধ্যে রয়েছে অভিযুক্ত দুই নাবালকও। পুলিশ সূত্রের খবর,নির্যাতিতাকে ডোম্বিভালি, রাবালে, মুরবাদ, বদলাপুরের মতো বহু জায়গাতেই অভিযুক্তরা ধর্ষণ করেছে।
নির্যাতিতার অভিযোগ, অভিযুক্তরা তাকে ধর্ষণ করার মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে রাখত। তারপর সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার নামে ব্ল্যাকমেইল করে দিনের পর দিন চলেছে অত্যাচার। নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, গত জানুয়ারিতে তার এক বন্ধু প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে সেই ধর্ষণের মুহূর্তের ভিডিও রেকর্ড করে রাখে। পরে সেই ভিডিওই সে অন্য অভিযুক্তদের পাঠায়। এরপর অন্য অভিযুক্তরাও সেই ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে একে একে ধর্ষণ করে কিশোরীকে। এইভাবেই বিগত কয়েক মাস ধরে ধর্ষিতা হতে থাকে কিশোরী। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন কিশোরী। তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, অভিযুক্তরা প্রত্যেকেই একই এলাকার এবং কিশোরীর পূর্বপরিচিত ও বন্ধু। পুরো ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে স্তম্ভিত পুলিশও। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে নির্যাতিতাকে। যে সব স্থানে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে সেই স্থানগুলিতেও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। সাকিনাকা ধর্ষণ কাণ্ডের পর ফের এই ঘটনা মহারাষ্ট্রের মহিলা সুরক্ষাকে বিরাট প্রশ্নের মুখোমুখি করেছে।