তৃণমূলে ভাঙন অব্যাহত। দল থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত আরও নেতা। দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার পুর প্রশাসক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিষ্ণুপুরের এসডিপিও-কেও লিখিতভাবে তাঁর সরকারি নিরাপত্তা প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন তিনি। দলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরাকেও ইস্তফাপত্র পাঠান বর্ষীয়ান এই তৃণমূল নেতা।
বেশ কয়েকদিন ধরেই দলের সঙ্গে মনোমালিন্য তৈরি হয় শ্যামাপ্রসাদ বাবুর। পুরসভার প্রশাসক পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। এদিন ইস্তফাপত্র দেওয়ার পর তিনি জানান, দলের কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিন জেলা সভাপতি দফতরে না থাকায় দফতরের এক ব্যক্তি ইস্তফাপত্র জমা নেন। কিন্তু বিধি সম্মত নয় বলেই নাকি শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। বিক্ষুব্ধ এই নেতা সাংবাদিকদের আরও জানান, ‘শুভেন্দু অনুগামী’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় তাঁকে বিগত দেড় বছর দল কাজ করতে দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য শুভেন্দুর মতই তাঁর মত। সবশেষে বিজেপি যাচ্ছেন বলেও জানিয়ে দেন বাঁকুড়ার এই নেতা।
এদিকে, তাঁর দলত্যাগের খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির কিছু কর্মী দলীয় অফিস ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁদের দাবি, দুর্নীতিগ্রস্ত শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে পদ্মশিবিরে নেওয়া যাবে না। এবিষয়ে জেলা সভাপতি হরকালী প্রতিহারকে ডেপুটেশন দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি হরকালী প্রতিহার জানান, বিক্ষোভের বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তারাই নেবে।
অন্যদিকে, তৃণমূল জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা জানান, শ্যামাপ্রসাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিলই। শুধু তাই নয়, অনেক দিন ধরে দলের কোন কাজ করছিলেন না তিনি। উনি চলে গেলে দলের কোন ক্ষতি হবে না।