দিকে দিকে বারবার আক্রমণ করা হচ্ছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে। এরই মাঝে ভারতীয় রেলের যাবতীয় পুরনো খোলনলচে বদলে ফেলার পরিক্রমা করেছে কেন্দ্র। শুরু হয়ে গেছে কাজও। এই মুহূর্তে সারা দেশে আটটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসটি যে দেশের বাকি সব ট্রেনগুলির তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক ও যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যে পরিপূর্ণ তা বলাই বাহুল্য। একটি ট্রেন পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গও।
যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ট্রেনটিতে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক ‘কবচ’ টেকনোলজিও। এছাড়া ট্রেনে রয়েছে অটোমেটিক দরজা, GPS, ওয়াইফাই-এর মতো সুবিধাও। অর্থাৎ আধুনিক ট্রেনের কোচ বলতে যা বোঝায় সবকটি সুবিধা রয়েছে এই ট্রেনে। এবার একনজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন রুটে চলছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস-
১) দেশের প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয় ২০১৮ সালে। নিউ দিল্লি-বারাণসী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নাম নিয়ে।
২) পরের বছর দ্বিতীয় নিউ দিল্লি-শ্রী মাতা বৈষ্ণ দেবী কাতরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয়। দিল্লি থেকে কাতরা পর্যন্ত চলছে ট্রেনটি। উদ্বোধন করেন অমিত শাহ।
৩) তৃতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চালু হয় ২০২২ সালে। ট্রেনটি গুজরাটের গান্ধীনগর থেকে মুম্বই পর্যন্ত চলছে। সময় লাগে মাত্র ৬ ঘণ্টা। যেখানে অন্য এক্সপ্রেস ট্রেনের এই সময় লাগে সাড়ে ৭ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা। তৃতীয় বন্দে ভারত ট্রেনটি প্রথম ও দ্বিতীয় বন্দে ভারতের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। এমনকি প্রথম ও দ্বিতীয় বন্দে ভারতের নিরিখে পরবর্তীগুলিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস 2.0-ও বলা যেতে পারে।
৪) চতুর্থ ট্রেনটি হল নিউ দিল্লি- আম্ব আন্দাউরা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। মূলত হিমাচল প্রদেশের মধ্যে চলাচল করে ট্রেনটি। ২০২২ সালের ১৩ অক্টোবর ট্রেনটি প্রথম চালু হয়।
৫) চেন্নাই-মাইসোর বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল পঞ্চম। ২০২২ সালের ১০ নভেম্বর চালু হয় ট্রেনটি। কাটপাডি ও কে আর এস বেঙ্গালুরু, এই দুটি স্টেশনে দাড়ায় ট্রেনটি।
৬) বিলাসপুর জংশন – নাগপুর জংশন হল দেশের ষষ্ঠ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি রায়পুর, দুর্গ, রাজনান্দগাঁও এবং গোন্দিয়া স্টেশনে থামে।
৭) হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি হল সপ্তম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি ২০২২ সালে ৩০ ডিসেম্বর চালু করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে একাধিকবার ট্রেনটির ওপর হামলা করা হয়।
৮) অষ্টম বন্দে ভারত এক্সপ্রেস চলছে সেকেন্দ্রাবাদ থেকে। অর্থাৎ এটি নিয়ে দ্বিতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেল দক্ষিণ ভারত। ২০২৩ সালের ১৫ জানুয়ারি ট্রেনটির উদ্বোধন হয়।
উদ্বোধন করেছিলেন অমিত শাহ। যদিও তারপর 5 অক্টোবর থেকে ট্রেনটি যাত্রী নিয়ে চলা শুরু করে। এই রুটে চলাকালানী সময়ে ট্রেনটি আম্বালা ক্যান্ট, লুধিয়ানা এবং জম্মু তাউইতে থামে৷ সপ্তাহে একমাত্র মঙ্গলবার ছাড়া বাকিদিনগুলি এই ট্রেনটি চলে।
আরও পড়ুন