মেয়ের গ্রেফতারি নিয়ে প্রথমবার মুখ খুললেন অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি বর্তমানে তিহাড়ে বন্দি। আবার গরু পাচার মামলায় বর্তমানে তিহাড়ে বন্দি কেষ্ট-কন্যা সুকন্যাও। সোমবার অনুব্রতকে হাজির করানো হয়েছিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। সেখানেই সুকন্যার গ্রেফতারি নিয়ে মুখ খোলেন তিনি।
সোমবার আদালতে হাজিরের সময় সুকন্যার গ্রেফতার নিয়ে মাত্র চার শব্দে প্রতিক্রিয়া দেন অনুব্রত। তিনি বলেন, “মেয়েকে গ্রেফতার করা অন্যায়। এটা মোটেই বাহাদুরির কাজ হয়নি।”
বুধবার গরু পাচার মামলায় দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল সুকন্যাকে। তারপর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। গরু পাচার মামলাতেই ১১ অগস্ট গ্রেফতার করা হয়েছিল সুকন্যার বাবা অনুব্রতকে। তারপর থেকে তদন্তকারীদের নজরে ছিলেন মেয়েও। গত ৩০ এপ্রিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানো হয়েছিল সুকন্যাকে। সেই সময় বিচারক তাঁকে তাঁকে ১২ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
অনুব্রতকে ফের একবার ৪ মে পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। অনুব্রতকে আসানসোল জেলে ফেরানো হবে, নাকি তিনি তিহাড় জেলেই থাকবেন, আগামী ৪ মে সেই নির্দেশ দেবে আদালত।আদালতে অনুব্রতর আইনজীবী দাবি করেন, যে উদ্দেশ্যে ইডি অনুব্রতকে দিল্লি এনেছিল, তা পূরণ হয়েছে। ফলে এই মুহূর্তে তাঁকে তিহাড় জেলে রাখার প্রয়োজন নেই। ভবিষ্যতে ফের প্রয়োজন হলে তিনি তিহাড় জেলে আসতে রাজি। এর পাল্টা ইডি-র আইনজীবী দাবি করেন, একজন অভিযুক্ত ঠিক করতে পারেন না তিনি কোন জেলে থাকবেন। কটাক্ষের সুরে ইডি-র আইনজীবী বরং বলেন, আগামী তিন- চার বছর তিহাড় জেলকেই অনুব্রতর ঘরবাড়ি ধরে নেওয়া উচিত৷