ভোটের কুরুক্ষেত্র মিটেছে বটে কিন্তু তাও উত্তাপ কমেনি রাজ্যের। এরই মধ্যে একাধিক রাজনৈতিক ঘটনায় শিরোনামে পূর্ব মেদিনীপুরের ঘাটাল। বিজেপি এগিয়ে আছে এমন বুথের মানুষদের পরিষেবা দেওয়া হলে প্রাণে মেরে দেওয়া হবে তৃনমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধেই এহেন অভিযোগ এনে শুক্রবার পদত্যাগ করেন ঘাটালের মনসুকা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পুতুল পাত্র। এরপরই ঘাটালের তৃণমূল নেতা শঙ্কর দলুইকে লক্ষ করে তোপ দাগেন খোদ শুভেন্দু অধিকারী। ঘাটালের তৃণমূল সমর্থকেরা গুজরাটে গেলে যে তাঁদের বিরাট সমস্যায় পড়তে হবে, হুমকিতে একথাই বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু।
শুক্রবার খড়্গপুরে শুভেন্দু অধিকারীকে বলতে শোনা যায়, “এই দেশটা কিন্তু চালাচ্ছে দল। ১৪টা রাজ্যে বিজেপি সরকার আছে। এ জিনিস চলতে থাকলে শঙ্কর দোলুইয়ের হয়ে যাঁরা ভোট করেছেন, গুজরাট-উত্তর প্রদেশে যাঁরা কাজ করছেন, সেখানে গিয়ে আমরা বলব ঘাটাল থেকে বিজেপির শীতল কপাটের চিঠি নিয়ে আসতে। সুরাটে শঙ্কর দোলুইয়ের বহু সমর্থক কিন্তু কাজ করেন। এটা যেন শঙ্কর দলুইদের মাথায় থাকে।”
শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে পালটা মুখ খুলেছেন শঙ্কর দলুইও। “শুভেন্দুবাবুর ভুললে চলবে না তিনি নিজে বাঙালি। আমার মনে হয় উনি বাঙালি হয়েও বাঙালি বিদ্বেষী হয়ে যাচ্ছেন। বাঙালিকে ঘৃণা করছেন। যে বাংলায় তাম্রলিপ্ত সরকারের ইতিহাস আছে, সে বাংলা ২০২১ সালে নরেন্দ্র মোদীজীকে এবং অমিত শাহজীকে শিক্ষা দিয়েছে। এখানকার ঐতিহ্য আলাদা। কাজেই তিনি বাইরে বাঙালিকে দেখে নেবেন। তা হলে উনি তো বাঙালি, উনি কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন? আমার মনে হয় ঘাটাল কেন বাংলার মানুষকে বাইরে দেখার কিছু নেই। বাঙালিকে ঘৃণা করে কখনও কেউ বড় হতে পারে না।” এমনটাই বলতে শোনা যায় তাঁকে। একই সঙ্গে পুতুল পাত্রের ইস্তফা নিয়ে ‘এত ঔদ্ধত্য ভালো নয়’ বলে তীব্র সমালোচনাই করেন শঙ্কর।