হিউম্যান রাইটসের নতুন প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে, অস্ট্রেলিয়ায় চিনা গণতন্ত্রপন্থী শিক্ষার্থীরা যদি সংবেদনশীল বিষয়ে কথা বলে তবে তাঁদের হয়রানির শিকার হতে হয় ও ভয়ঙ্কর শাস্তি ভোগ করে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচক মারফত জানা গেছে যে চিনা ছাত্র- ছাত্রীরাই অস্ট্রেলিয়ায় এই বিভাজনের পরিবেশে দমবন্ধ বোধ করে এবং অনেকই শ্রেণীকক্ষে অপ্রতিভ হয়ে পড়ছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে যে তাঁরা অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিল এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ অবস্থার দিকে অগ্রসর হচ্ছে তৈরি হয়েছে “ভয়ের পরিবেশ”।
এই প্রতিবেদনে এমন কিছু অ্যাকাউন্ট রিলে করা হয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা বলেছে যে সমাবেশে যোগ দেওয়ার পরে বা চিন সরকারের সমালোচনা প্রকাশের পরে তাদের অনলাইনে মৌখিকভাবে নির্যাতন করা হত ও হয়। এমনকি অনলাইনে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য পর্যন্ত শেয়ার করা হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ায় চিন কোর্স পড়ায় এমন শিক্ষাবিদরাও বলছেন যে তারা নিজেরাই বহুভাবে অনেক চাপ অনুভব করেছেন। বুধবার ক্যানবেরায় চিনের দূতাবাস এই প্রতিবেদনটিকে “পক্ষপাতদুষ্ট” বলে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাঁরা এও বলেছে যে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ “পশ্চিমাদের জন্য একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়ে গেছে এবং হিউম্যান রাইটস নাকি সর্বদাই চিনের ব্যাপারে পক্ষপাতি ছিল।
দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের অবনতির পরে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে স্থানীয় ক্যাম্পাসগুলিতে চিনের প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ক্যানবেরা ইতিমধ্যে সম্ভাব্য বিদেশী হস্তক্ষেপের অভিযোগ তদন্ত করছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তার প্রতিবেদনে সতর্ক করেছে যে চিন থেকে অনুভূত চাপ অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একাডেমিক স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করছে। অস্ট্রেলিয়ার উচ্চ শিক্ষাব্যবস্থা ফি-প্রদানকারী চিনা শিক্ষার্থীদের উপর প্রচুর নির্ভরশীল, যা দেশের সকল আন্তর্জাতিক ছাত্রের প্রায় ৪০% ছাত্র-ছাত্রীদের প্রাক-কোভিড সময়ে ছিল।অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বর্তমানে প্রায় ১৬০,০০০ চীনা শিক্ষার্থী ভর্তি রয়েছেন। চিফ এক্সিকিউটিভ ক্যাটরিওনা জ্যাকসন বলেছেন, “আমাদের ইউনিভার্সিটির প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ডিএনএ-তে রয়েছে মুক্ত মতবিনিময়ের অধিকার, শিক্ষার্থী বা স্টাফ সদস্য তাদের মতামত প্রকাশে যেন বাধা বোধ না করে।”তিনি ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষার্থীদের তাড়াতাড়ি এই ঘটনার অভিযোগ করার আহ্বান জানান তবে তিনি আরও যোগ করেন যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি একা এই লড়াই মোকাবিলা করবে না, তাঁরা সরকারের সাথে কাজ করবে।