মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই প্রকাশ্যে এসেছে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃনমুল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোনালাপের রেকর্ডিং। তাতে শীতলকুচি কান্ড প্রসঙ্গে বিস্ফোরণ মন্তব্য করতে শোনা গেছে তাঁকে। সেই অডিও প্রকাশ্যে এনে পঞ্চম দফা ভোটের ঠিক আগে তৃনমুলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-16-at-22.49.48.jpeg)
কিন্তু বিজেপির এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ ঘাসফুল শিবির। “ফেক নিউজের ফ্যাক্টরি বিজেপি,গুজব ছড়াচ্ছে মমতার নামে” এমনই অভিযোগ তুলে বিজেপিকে পালটা আক্রমণ শানিয়েছে তৃনমুল। এদিনই বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও শীতলকুচির তৃনমুল প্রার্থী পার্থপ্রতিম রায়ের ফোনালাপের একটি রেকর্ডিং প্রকাশ করেন। সেই অডিওটি প্রকাশ করেই বিজেপি অভিযোগ আনে যে মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করছেন মমতা।
এই ঘটনায় তৃনমূলের পালটা অভিযোগ “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফোন ট্যাপ হল কীভাবে?”
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/04/WhatsApp-Image-2021-04-16-at-19.30.39-1.jpeg)
এই অডিও ক্লিপকে হাতিয়ার করে অমিত মালব্য দাবি করছেন, “মমতা আর পার্থপ্রতিমের এই ফোনালাপ থেকেই স্পষ্ট, শীতলকুচিতে বুথ দখলের চেষ্টা করছিল তৃণমূল। মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে মমতা। এই ঘটনাকে নির্বাচনে সম্পূর্ণ মেরুকরণ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। সংখ্যালঘু তোষণের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী।”
এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে আসরে নামেন দুই সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন এবং সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁদের প্রশ্ন, “আমাদের দেশে যে কেউ চাইলে যে কোনও লোকের ফোন ট্যাপ করতে পারে? বহিরাগত বর্গী এই ফোনগুলো ট্যাপ করে। বিজেপির মিথ্যে প্রচারের ফ্যাক্টারির মালিক এই বর্গী। বহিরাগত বর্গীরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।”
সুখেন্দুশেখরের প্রশ্ন, “শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালিয়েছিল নাকি চালায়নি? চালালে কীসের ভিত্তিতে চালাল? আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালালে তার ভিডিও ফুটেজ কোথায়? আইন অনুযায়ী বলা আছে ভিড় নিয়ন্ত্রণে যত সম্ভব কম বল প্রয়োগ করতে হবে। সেটা কেন্দ্রীয় বাহিনী কেন মানল না?”
এই অডিও রেকর্ডিংকে কেন্দ্র করে এখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। শাসক দল এবং বিরোধী পক্ষের মধ্যে এই নিয়ে চাপানউতোরের শেষ কোথায়, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।