“ঘুম পাড়ানি মাসী পিসি মোদের বাড়ি এসো” মা ঠাকুমারা এই গান শুনিয়ে ছেলেবেলায় ঘুম পাড়াতেন। কিন্তু সময়ের সারণিতে এই গান এখন বিলুপ্তির পথে,আবার কাজের চাপে ঘুম যেন দু চোখের পাতায় ধরা দিতেই চায় না। কিভাবে সহজে ঘুম আসবে? জানতে হলে মানতে হবে সহজ টোটকা।
দিনে অন্তত পক্ষে ৭ ঘণ্টা ঘুমাতে বলে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু বিছানায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা শুয়ে থাকলেও চোখের পাতা এক হয় না।
মিষ্টি আলু কে বলা হয় ঘুমের মাসী। তাই বেশি করে আলু খান। এতে পর্যাপ্ত শর্করা থাকে। গবেষণা বলছে দিনে দুটি করে কলা খেতে পারেন গাঢ় ঘুমের জন্য। এছাড়া মধু খেলেও বেশ জাকিয়ে ঘুম হয়। খালি পেটে ১ চামচ মধু খান নিয়মিত।
নিত্যদিনের কাজের প্রেসারে জর্জরিত আমরা। তাই স্ট্রেস রিলিফের প্রয়োজন। কিন্তু জানেন কি চাপ কমাতে চা কফি খেলে চলবে না। এতে থাকা ক্যাফিন আপনার রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে। তাই গভীর ঘুমের জন্য চা কফি ত্যাগ করুন।
কাঠবাদামে থাকে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, ট্রিপটোফ্যান যা আপনার মাংসপেশি ও স্নায়ু কে সবল রাখে। আপনার গাঢ় ঘুমের জন্য কাঠবাদাম খুব উপযোগী।
বিভিন্ন সবজির স্যুপ,আপেল, বাদাম সহ কিসমিস ও শুকনো ফল খাদ্য তালিকায় রাখুন যেগুলি আপনার ঘুমের পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করবে।
রাতে ঘুমানোর অন্তত ৩-৪ ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে নিন। মনে রাখবেন রাতের খাবারে মিষ্টি বা খুব ভারী খাদ্য রাখবেন না।আবার খালি পেটে ঘুমাবেন না। তাই সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
ক্লান্তি অনুভব করলে তবেই বিছানায় যান। ঘুমানোর আগে ভালো বই পড়ুন,মজার জোকস শুনতে পারেন,পাশে রাখতে পারেন রবীন্দ্র সঙ্গীত। তবে ইলেকট্রনিক জিনিসের ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
নিয়মিত যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন করুন। সকাল বিকেল ১৫ মিনিট করে ওয়াকিং করুন। এতে আপনার শরীরের অনেকখানি ক্যালরি ক্ষয় হবে। ফলে শরীরে ক্লান্তি আসবে।
দুপুরে ঘুমানো বা ভাত ঘুমের অভ্যাস বাঙালির চির কালের। তাই এবার থেকে দিনের বেলা ঘুমানো নৈব নৈব চ। অকারণে বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
আপনার বেডরুমটি পরিষ্কার রাখুন। অন্যান্য ঘর থেকে আলাদা হলে খুব ভালো হয়। জানলা দরজায় হালকা রঙের পর্দা লাগান। ঘুমানোর সময় অবশ্যই ঘর অন্ধকার রাখুন। খুব দরকার পড়লে একটা নাইট ল্যাম্প জলতে পারে।