১২ বছর আগে দুই কনস্টেবলকে হত্যার দায়ে করা মামলায় জেলে যেতে হয় তাঁকে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন না তিনি। তবে দমে যাননি, জেলের ভেতর ও জামিনের পর আইন বিষয়ে পড়াশুনা করেন। পরে জামিনে বেরিয়ে নিজের মামলা নিজেই লড়ে ১২ বছর পর পান বেকসুর খালাস।
উত্তর প্রদেশের মিরাটে এমন ঘটনাই ঘটেছে। ২০১১ সালে খুনের মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় অমিত চৌধুরী নামের ১৮ বছর বয়সী এক তরুণকে। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।২০১১ সালে উত্তর প্রদেশের মিরাট এলাকায় দুজন পুলিশ কনস্টেবল খুন হন। এতে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। দোষীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনতে নির্দেশ দেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। ১৮ বছর বয়সী অমিত চৌধুরীকে অভিযুক্ত করা হয়। বলা হয়, তিনি একজন গ্যাংস্টার।কিন্তু অমিত চৌধুরী একজন কৃষকের ছেলে। তাঁর স্বপ্ন, তিনি একদিন সামরিক বাহিনীতে যোগ দেবেন। ঘটনার সময় তিনি ওই গ্রামেই ছিলেন না।
![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/12/InCollage_20231211_212449393-1024x576.jpg)
এরপরও অমিতকে গ্রেপ্তার করে পাঠানো হয় কুখ্যাত মুজাফফরনগর জেলে। ওই জেলে আগে থেকেই এলাকার সবচেয়ে বড় গ্যাংস্টারেরা ছিলেন। সেখান থেকে অপরাধমূলক কাজ চালাতেন তারা।
সেই জেলে বসেই অমিত সিদ্ধান্ত নেন, নিজেই নিজের মামলা লড়বেন। কিন্তু গ্যাংস্টারদের কারণে তিনি ভালোভাবে থাকতেই পারছিলেন না। সবাই তাঁকে নিজেদের দলে নেওয়ার চেষ্টা শুরু করে। তবে জেলারের সহায়তায় তিনি এমন একটি কক্ষে থাকার সুযোগ পান, যেখানে গ্যাংস্টারদের প্রভাব নেই।সেই জেলেই পড়াশুনা শুরু করেন অমিত। আইন নিয়ে সবকিছু শিখতে শুরু করেন। এভাবে দুই বছর কেটে যাওয়ার পর জামিন পান তিনি। বেরিয়েই বিএএলএলবি এবং এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বার কাউন্সিলের পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন ।এরপর আইনজীবী হয়ে নিজেই নিজের মামলা লড়েন।
সম্প্রতি সেই মামলায় জিতেছেন অমিত। তবে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বছর কেটে গেছে জেলে। অমিত বলেন, ‘এ নিয়ে আফসোস নেই। এখন আমি সমাজে কাছে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি। এটা আমার জন্য বড় পাওয়া।’