কম্বলকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন তিওয়ারিকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ আদালত। রবিবার জিতেনকে আদালত থেকে বের করার পথে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। এদিন আদালতে নিজের জন্য সওয়াল করতে গিয়ে জিতেন বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে আগামিকাল এই মামলার শুনানি রয়েছে। সে জন্য পুলিশ হেফাজত দিন। কিন্তু দুদিনের জন্য দিন। তারপরে সুপ্রিম কোর্টের রায় যা হবে তা দেখে প্রয়োজন হলে আরও ১২ দিন পুলিশ হেফাজত দিয়ে দেবেন। কিন্তু আজ ২ দিনের পুলিশ হেফাজত দিন।” বিচারক অবশ্য দুপক্ষের সওয়াল-জবাবের পর জিতেনকে ৮ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।
গত বছর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা জিতেনের স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির উদ্যোগে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তবে তিনি ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়। পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় একাধিক ব্যক্তির। এই ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েন সস্ত্রীক জিতেন। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। এই নিয়ে একাধিকবার সস্ত্রীক জিতেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর শনিবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা দফতর এবং আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে অভিযান চালিয়ে নয়ডায় যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে জিতেনকে গ্রেফতার করে।
এদিন আদালত থেকে জিতেনকে বেরনোর সময়ে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য,যদি অনুব্রতকে কালো কাচের গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাহলে তাঁদের নেতাকে কেন ভাঙা পিসিআর ভ্যানে নিয়ে যাওয়া হল? সেই প্রশ্ন তুলে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী সমর্থকরা।