এগরার পর এবার বারাসাত। ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে বাজি কারখানায়। এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭। আজ রবিবার সকাল ১০ টা ৩০ মিনিট নাগাদ বারাসাতের দত্তপুকুরে এই ঘটনা ঘটে। রাজ্যে আরও একবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠল প্রশ্ন! পাশাপাশি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি! স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের সহযোগীতায় বহুদিন ধরেনি নাকি এলাকায় বাজির কারবার চলছিল! একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। জানা গিয়েছে, কেরামত আলি নামে এক ব্যক্তি এই কারখানার মালিক। আজকের এই ঘটনায় মৃতের তালিকায় কেরামতের ছেলে রবিউল আলির নামও রয়েছে। এছাড়াও মৃত্যু হয়েছে শামসুল আলি, জাহিদ আলি নামে আরও দু’জনের। এঁরা দু’জনেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে।

এই ঘটনার পর রাজ্যের মন্ত্রী রথীন ঘোষ এলাকা পরিদর্শনে যান। ঘটনার পেছনে স্থানীয় এসএফআই নেতার হাত রয়েছে বলেই তিনি দাবি করেন। অন্যদিকে স্থানীয়ের দাবি, দত্তপুকুরে বাজি কারখানার ‘পার্টনার’ সামসুল আলম নাকি তৃণমূল কর্মী। পালটা রথীনের দাবি, দলকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
পাশাপাশি আজ মোদীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বারাসাতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে এসে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসক দলের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর কথায়, এগরার ঘটনার পর বেআইনি কারখানা আর থাকবে না বলেই আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল শাসক দলের তরফে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। পুরো রাজ্যটাই বেআইনি ভাবে চলছে! বাজি কারখানার শ্রমিকদের আলাদা কর্ম সংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলেও বলা হয়েছিল। কিন্তু কিছুই হয়নি।
এ’দিকে এই ঘটনার জেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগের পরও মিলছে না ফল! বার-বার একই ঘটনা ঘটে চলেছে রাজ্যে। আর কবে মিটবে এই গাফিলতি, চোখ খুলবে প্রশাসনের? এই প্রশ্নই ফিরে ফিরে আসছে সাধারণ মানুষের মনে।