মাছের রাজা বললে অত্যুক্তি হয় না। বাঙাল হোক বা ঘটি কব্জি ডুবিয়ে ইলিশের পাতুরি বা সর্ষে ইলিশ চলবেই। আগামী কাল বিশ্বকর্মা পুজো। কাল আবার রান্না পুজোও।কিন্তু রান্না পুজোতে অন্যান্য রান্না হলেও ইলিশের দেখা মিলবে না। কারণ ইলিশ মিলছে না গঙ্গায়,যে গুটিকতক মাছের দেখা পাওয়া যাচ্ছে তার আবার চরা দাম। তাই মাছ কিনতে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। মৎস্যজীবিরা জানাচ্ছেন, দীঘা, শংকরপুর বা বকখালি মোহনা কোথাও নেই ইলিশের পর্যাপ্ত যোগান। ভাদ্র মাসের রান্না উৎসবে গৃহিণীদের মুখ ভার। কারণ কর্তার পকেটে টান।
তবে শুধু গৃহস্থরা নন মাছ ব্যবসায়ীরাও পড়েছেন মহা বিপদে। তাদের কেনাকাটা নেই। চরা দামে ইলিশ কিনলেও বিক্রি করতে পারছেন না। পাইকারি বাজারে দাম কেজি প্রতি ১৮০০-২০০০ টাকা। খুচরো বাজারে সেই দাম হয়েছে ২২০০-২৫০০ টাকা। আবার খোকা ইলিশ ৪০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকায়। উল্লেখ্য এবার বর্ষার শুরু থেকেই রুপোলি শস্যের বাজার মন্দা। করোনা অতিমারির প্রভাবে ওপার বাংলা থেকে মাছের আমদানি খুব কম হয়েছে।নিরুপায় খাদ্য রসিক বাঙালিকে এবার ইলিশহীন উৎসব কাটাতে হবে।