নিজস্ব সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : চাকরির অভাবে ভুগছে রাজ্যের যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা। আর এবার সেই চাকরি প্রার্থীদেরই মুশকিল-আসান হয়েই সামনে এলেন পুরুলিয়ার বান্দোয়ান এলাকার বিশ্বজিৎ কর মোদক নামে শিক্ষিত এক গ্রামীন সম্পদ কর্মী । মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই এবার চপ শিল্পকে সকলের সামনে তুলে ধরলেন তিনি এমনটাই তার বক্তব্য ।
তাঁর মতে কোনও ব্যবসায় ছোট নয়। মূলত দীর্ঘদিন শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জন করেও চাকরি পায় না রাজ্যের চাকরি প্রার্থীরা। তাই বাধ্য হয়েই অন্য কাজের পথ বেছে নিতে হয় তাদের। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা অনুসরণ করেই চপ শিল্পের লগ্নি করে স্বনির্ভর হয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই তা অকপটে স্বীকার করতেও দেখা যায় ভদ্রলোককে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী হয়ে পুনরায় ক্ষমতায় আসার পরই রাজ্যের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছিলেন, কেবলমাত্র সরকারি কাজ পেলেই করব, না হলে করব না ,এমন চিন্তা ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে সকলকেই। যা পাওয়া যাবে, সেই কাজই করতে হবে ছাত্র-ছাত্রীদের। সেই কথাকেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করলেন বিশ্বজিৎ বাবু। আজ তাঁর এই কাজে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশী তথা স্থানীয় বাসিন্দা নমিতা হালদার বলেন,” ভি আর পি-র দৈনিক ১৭৫ টাকার বেতনের চাকরি আর কিছু টিউশন পড়িয়ে ওর সংসার চলত। কিন্ত করোনা পরিস্থিতিতে টিউশন বন্ধ। তাই আমরা, স্থানীয় বাসিন্দারাই বিশ্বজিৎকে চপের দোকান করতে সাহায্য করেছি।” চপের দোকান করে দৈনিক বিক্রিও হচ্ছে ভালো, দোকানের কাজের জন্য রাখা হয়েছে একজন কর্মী বলেও জানিয়েছেন বিশ্বজিৎ কর মোদক। তবে রাজ্যের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কর্মসংস্থানের মধ্যবর্তী সম্পর্কের গুণগতমান ঠিক কতটা নামছে তার স্পষ্ট উদাহরণ পাওয়া গেল আজই।