![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2023/04/IMG-20230401-WA0022-1024x576.jpg)
ভানুকা রাজাপক্ষের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে বড়সড় টার্গেট ঝুলিয়ে দেয় পঞ্জাব কিংস। রান তাড়া করে কেকেআরের জয়ের সম্ভাবনা থাকলেও বৃষ্টির বাধায় ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
প্রথম ম্যাচেই কলকাতার জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল প্রকৃতি। বৃষ্টিতে খেলা মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে ৭ রান ম্যাচ হেরে মাঠ ছাড়তে হয় কলকাতাকে। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন কেকেআর অধিনায়ক নীতীশ রানা। পঞ্জাবের হয়ে প্রথম ম্যাচেই নজর কাড়লেন ভানুকা রাজাপক্ষে। তিন নম্বরে মাঠে নেমে ৩০ বলে অর্ধশতরান করেন। প্রথম ওভারেই দুটি চার ও একটি ছয় হাঁকান। প্রভসিমরন সিং আউট হওয়ার পর ৩১ বছরের শ্রীলঙ্কার ব্যাটার ক্রিজে নেমে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিলেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩২ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে উমেশ যাদবের বলে লং অনে ধরা পড়েন। কিন্তু ততক্ষণে নিজের কাজ করে দিয়েছেন তিনি। পঞ্জাবের স্কোর তখন ২ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান।
আলোর নিয়ে নাটক শেষে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই নড়বড়ে কেকেআর। ১৯২ রানে বড় চ্যালেঞ্জ তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ওভার থেকে পরপর উইকেট হারাতে শুরু করে নাইটরা। পাওয়ার প্লে ওভারের আগেই তিন উইকেট খুইয়ে বসেছিল কেকেআর। অধিনায়ক নীতীশ রানার ১৭ বলে ২৪ রান। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ভেঙ্কটেশ আইয়ার খেললেন ২৮ বলে ৩৪ রান। এরপর মাঠে নামেন আন্দ্রে রাসেল। ৩টি চার ও ২টি ছয়ের সাহায্যে ১৯ বলে ৩৫ রান রাসেলের। কেকেআরের জার্সিতে এদিন ২০০০ রান পূর্ণ করে ফেলেন।
কলকাতা নাইট রাইডার্স শেষবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় ২০১৪ সালে। সুতরাং, পরবর্তী ৮টি মরশুমে ট্রফি জিততে পারেনি কেকেআর। ব্যর্থতার ধারা আরও দীর্ঘ পঞ্জাব কিংসের। তারা একবার মাত্র আইপিএলের ফাইনালে ওঠে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কলকাতা শেষবার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হয় পঞ্জাবকে হারিয়েই। অর্থাৎ, ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় পঞ্জাবকে। পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াই দিয়ে এবার নতুন উদ্যমে নতুন মরশুম শুরু করে দু’দল।