![](https://mbharat.in/wp-content/uploads/2021/06/IMG-20210602-WA0025.jpg)
আজ নবান্নে ইয়াস পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকের এই বৈঠকে ইয়াসের পাশাপাশি আমফানের ক্ষতিগ্রস্থ বেশ কিছু বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। আজকের এই বৈঠকে আমফানের ভেঙে যাওয়া গাছ প্রসঙ্গে তিনি বলেন , “আমফানের সময় প্রচুর গাছ ভেঙেছে, সেই গাছ কোথায় গেল? সব দফতরের থেকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাই।”
শুধু তাই নয় পাশাপাশি বিভিন্ন উপকূলবর্তী এলাকায় বাঁধ নির্মাণ এবং তাদের ক্ষয়ক্ষতি মেরামত নিয়ে সেচ দপ্তরের ওপর তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতি বছরই বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে এবং কোন না কোন ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সমস্ত বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। এর প্রকৃত অর্থ লক্ষ লক্ষ টাকা জলে দেওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।
তাছাড়াও সুন্দরবন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই পাঁচ কোটি ম্যানগ্রোভ বসানো হয়েছে সুন্দরবনে। যা সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি বেশ কিছুটা রুখতে সহায়ক হয়েছে । আগামী দিনে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরের বসানো হবে ম্যানগ্রোভ। তবে মন্দারমনিতে যে সমস্ত হোটেলগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হোটেলগুলি কেবলমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে নিজের দোষে। কারণ প্রকৃতি তার নিয়ম মেনেই চলবে সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে হোটেল বানালে সমুদ্রের ঢেউয়ে তার ক্ষয়ক্ষতি নিশ্চিত।
এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী যে সমস্ত কর্মসূচির বিষয়ে আরও একবার উল্লেখ করেছেন সেগুলো নিম্নরূপ;
১) ১১ জুন ও ২৬ জুন ভরা কটাল রয়েছে। তার আগে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করতে হবে।
২) বিদ্যাধরী নদীর বাঁধ সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে ১০০ দিনের শ্রমিকদের কাজে লাগানোর কথাও বলেন তিনি।
৩) অন্তত ১০ বছরের জন্য ঠিকাদারদের দায়িত্ব দিতে হবে।
৪) বনদপ্তরের তৎপরতায় ৫ কোটি ম্যানগ্রোভ দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুর এলাকায় বসানো হবে।
৫) দিঘায় ৭ কিমি মেরিন ব্রিজ তৈরি করা হবে।
৬) দিঘার হকারদের দোকানগুলি তৈরি করে দেওয়া হবে।