ভারতের দুই প্রধান ওষুধ নির্মাতা কোম্পানি রস ইন্ডিয়া এবং সিপলার যৌথ চেষ্টায় অবশেষে ভারতে এল অ্যান্টিবডি ককটেল। এই অ্যান্টিবডি ককটেলের সাহায্যে উচ্চ থেকে মাঝারি ঝুঁকি সম্পন্ন করোনা রোগীদের চিকিৎসা চালানো যাবে বলেই দাবী সংস্থার। অ্যান্টিবডি ককটেলের প্রতিটি ডোজের দাম পড়বে ৫৯হাজার ৭৫০টাকা। ইতিমধ্যেই ভারতের বাজারে চলে এসেছে Casirivimab এবং Imdevimab এই দুই অ্যান্টিবডি নিয়ে তৈরি অ্যান্টিবডি ককটেলের প্রথম ব্যাচ। এর দ্বিতীয় ব্যাচটি জুন জুলাই নাগাদ বাজারে আসবে বলেই জানাচ্ছে নির্মাতা সংস্থাদুটি। প্রথম ব্যাচের ১০০০০০ টি প্যাকের প্রতিটির মাধ্যমে দুজন রোগীর অর্থাৎ মোট ২০০০০০রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হবে। আপাতত বড় হাসপাতাল এবং করোনা চিকিৎসা কেন্দ্রগুলিতেও মিলবে এই ওষুধ।
সম্প্রতি জরুরী ভিত্তিতে এই অ্যান্টিবডি ককটেল ওষুধটিকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় ঔষধ মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা (CDSCO) ।
রস ফার্মার সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভি সিম্পসন ইম্যানুয়েল বলেন “আমরা আশা করছি এই ককটেলটি করোনা চিকিৎসায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।” এটির ব্যবহার শুরু হলে হাসপাতাল গুলির উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমবে এমনটাই দাবী তাঁর। সিপলার সিইও এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর উমাঙ্গ ভোরা জানান যে উচ্চ ঝুঁকিযুক্ত রোগীদের দেহে এই ওষুধটি প্রয়োগ করা হলে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনাকে ৭০% এবং উপসর্গগুলিকে চারদিন অবধি কমিয়ে আনা সম্ভব।
যদিও ভারতের মত দরিদ্র দেশে এহেন বহুমুল্য ওষুধ যে সাধারণের নাগালের বাইরেই থাকবে একথা বলাই বাহুল্য।