শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে বীরভূমের দুবরাজপুর বিধানসভার অন্তর্গত খয়রাশোল ব্লকের মুক্তিনগর গ্রামে তৃণমূল আশ্রিত ১০০-১৫০ দুষ্কৃতী হামলা চালায়। যেখানে বোমাবাজি এবং এলাকার বাসিন্দাদের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি মহিলাদের উপর অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দারা একজোট হওয়ার পর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মহিলাদের শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণের চেষ্টা করলে পাল্টা ওই গ্রামের বাসিন্দারা দুষ্কৃতীদের তাড়া করে। পরবর্তীতে হার্মাদ বাহিনিকে তাড়া করায় তারা তাদের বাইকগুলো ওখানেই ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। উত্তপ্ত এলাকাবাসী ওই বাইক গুলিতে ভাঙচুর করে এবং বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতীকে মারধর করা হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় রয়েছে, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রাম থেকে এক দুষ্কৃতীকে ধরে পুলিশের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়।অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তৃণমূলের তরফ থেকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে।
পাশাপাশি এইরকম ঘটনার নজির দেখা গেল পূর্ব মেদিনীপুর ভগবানপুর থানার অন্তর্গত মহম্মদপুর এক নম্বর অঞ্চল পশ্চিমবাড় গ্রামে। মহম্মদপুর এলাকায় বিজেপি মন্ডল সহ-সভাপতি তরুণ প্রধানের ঘর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ, সেই সঙ্গে পাঁচজন বিজেপি কার্যকর্তাকে মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।সেই সময় স্থানিও এলাকা বাসিরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দৌড়ে এলে পালিয়ে যায় হার্মাদ বাহিনী। ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে হার্মাদ বাহিনীর সদস্যদের গ্রেফতার করা এবং গণতন্ত্র রক্ষার কথা বলে সাধারণ মানুষকে আশ্বাস দেন। জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মদনমোহন পাত্র বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে বলেন ওই এলাকার ঘটনা দীর্ঘদিনের, বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই সংঘর্ষ, এর মধ্যে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়, বিজেপি মিথ্যা অপপ্রচার করছে। সব মিলিয়ে রাজ্যের এই দুই জেলার আবহাওয়া বেশ গরম। সমস্যায় পড়েছেন এলাকাবাসী উত্তেজনায় দিন কাটছে তাঁদের।