চলে গেলেন ভারতীয় ফুটবলের নক্ষত্র মহম্মদ হাবিব। ভারতের অন্যতম সেরা আক্রমণ ভাগ্যের ফুটবলার যেমন কলকাতা ময়দান দাপিয়েছেন, তেমন হাবিব বিখ্যাত ছিলেন আন্তর্জাতিক দলের বিরুদ্ধে খেলার জন্য। কলকাতা ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে তার ১০টি গোল রয়েছে। ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিন প্রধানে খেলা এই কিংবদন্তি ফুটবলার। আজ বিকেল সাড়ে ৪টেয় হায়দরাবাদে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলেছেন। জাতীয় দলের জার্সিতেও রয়েছে সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন।

বেশ কিছু বছর ধরে অ্যালঝেইমার্সে ভুগছিলেন হাবিব। ২০১৯ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। হায়দরাবাদে জন্ম হলেও তাঁর পুরো ফুটবল জীবনই কেটেছে কলকাতায়। ১৯৬৬ সালে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। নবাবের শহরে জন্ম বলে কলকাতা ময়দানে তিনি পরিচিত ছিলেন বড়ে মিঞা নামে। তাঁর ভাই আকবর ছিলেন ছোটে মিঞা।ইস্টবেঙ্গলে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত খেলার পর মোহনবাগানে যোগ দিয়েছিলেন হাবিব। ফুটবল জীবনের বেশির ভাগ সময়টাই ইস্টবেঙ্গলে কাটিয়েছিলেন তিনি। মহমেডানেও খেলেছিলেন। ১৯৮৪ সালে মোহনবাগানের হয়ে খেলে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। মোহনবাগানে ১৯৬৮ সালে খেলার সময় অমল মজুমদারের প্রশিক্ষণে খেলেছিলেন হাবিব।
এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় দলের অধিনায়ক ছিলেন সৈয়দ নঈমুদ্দিন। সেই দলের অন্যতম স্ট্রাইকার ছিলেন হাবিব। প্রাক্তন ফুটবলার প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করেন হাবিব তাঁর যোগ্য সম্মান পাননি। পাঁচ বছর একসঙ্গে খেলেছিলেন তাঁরা। প্রসুন বলেন, “ভারতে ফুটবলারদের সঠিক মূল্যায়ন হয় না। কেন্দ্রীয় সরকার হাবিবদাকে অর্জুন পুরস্কার দিয়েছিল। হাবিবদার আরও অনেক বেশি কিছু পাওয়া উচিত ছিল। ভারতের সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের তালিকায় হাবিবদাকে রাখব। পাঁচ বছর একসঙ্গে খেলার সুযোগ হয়েছে। অনেক কিছু শিখেছি।”