কিছুদিন আগেই মার্কিন সংসদ ভবনের ভিতরে ট্রাম সমর্থকেরা যে ধুন্দুমার কান্ড বাধিয়েছিলেন ,তার জন্য অনেকেই দায়ী মনে করেন ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। এই ঘটনার প্রতিকারের টুইটার থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় তার একাউন্ট পাকাপাকিভাবে, যদিও তাতে থেমে থাকেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘@realDonalTrump’ নামে তার নিজস্ব একাউন্ট থেকে কিছু টুইট করেন তিনি। যা ক্রমাগত ইন্ধন জুগিয়েছে ওই বিদ্রোহে। টুইটার সংস্থা মনে করছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওই টুইট থেকে হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ভীষণভাবে । তার টুইটে উত্ত্যক্ত হয়ে ,তার অনুগামীরা আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের ক্যাপিটাল কয়েক ঘন্টা দখল করে রেখেছিলেন । যে কারণে সন্ধ্যে ছয়টার পর থেকে ১২ ঘন্টার কারফিউ জারি করা হয় ১৫ দিনের জন্য।
যদিও নিজের একাউন্ট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় থেমে থাকেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প পরবর্তীতে ‘@POTUS’ নামক একটি অ্যাকাউন্ট থেকে ক্রমাগত টুইট করতে থাকেন তিনি , পাশাপাশি টুইটার সংস্থাকেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বলেন, টুইটার মানুষের বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করার চেষ্টা করছে যদিও তাতে তাকে থামিয়ে রাখা যাবে না। পরক্ষণে টুইটার থেকে এই অ্যাকাউন্টটি ও পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও তাকে থামানো যায়নি পরবর্তীতে আবার একটি অ্যাকাউন্ট খুলে টুইট করতে থাকেন তিনি। সেই একাউন্টের নাম ছিল ‘@ team trump’ । আবারো বাক স্বাধীনতা খর্ব করার অভিযোগ করলে বন্ধ করে দেয়া হয় এই অ্যাকাউন্টটি ও টুইটারের তরফ থেকে। শেষ পর্যন্ত নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তিনি বলেন কোনোভাবেই থামানো যাবেনা তাকে ,সাধারণ মানুষের স্বার্থে তিনি তার বার্তা প্রেরণ করবেনই। যদিও উল্লেখ্য সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের ইতিহাসে তিনিই প্রথম রাষ্ট্রনেতা , যার একাউন্ট একাধিকবার ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।