বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ । করোনা সংক্রমণে দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে বেশ কিছুটা নাজেহাল হতে হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারকে। তাই ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণ টিকাকরনের সর্বোচ্চ মাত্রার দিকেই পদক্ষেপ বাড়িয়েছেন। তবে টিকাকরণের ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও ভারতের ওপর নির্ভর করতে হয় বাংলাদেশকে ।গত মে মাসে ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকরের সঙ্গে টেলিফোনিক আলাপ সারেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তখনই দ্রুত টিকা আমদানির বিষয়ে আবেদন জানান মোমেন । অথচ এদিকে ভারত নিজেই সংক্রমনের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি এখনও। আর এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক স্তরে টিকা রপ্তানির ক্ষেত্রে কোন ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশকে টিকার জোগান দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা কাটেনি বলে জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী। একটি সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে বিবৃতিতে গিয়ে তিনি বলেন , “ভারতে করোনার অবস্থা এখনও গুরুতর। এ নিয়ে ঠিক কী হবে তা এখনই বলতে পারছি না।” তিনি আরও বলেন,“আমরা টিকা উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লক্ষ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। আশা করি টিকা উৎপাদন বাড়লে এটা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু ভারতে করোনার অবস্থা এখনও করুণ। সুতরাং, পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে ঠিক কী হবে তা এখনই বলতে পারছি না।”