প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং গুজরাত হিংসা নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই বিতর্ক অব্যাহত। সম্প্রতি, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক ইউটিউবে বিবিসির তথ্যচিত্র, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’-এর প্রথম পর্বটি ব্লক করার নির্দেশ জারি করেছে। সূত্রের খবর, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম টুইটারকে ইউটিউবে ভিডিওর লিংক-সহ ৫০টিরও বেশি টুইট ব্লক করতে বলা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের ট্যুইটও। তথ্যচিত্রের লিঙ্ক শেয়ার করায় তাঁর ট্যুইট ব্লক করা হয়েছে বলে খবর।
চিঠিতে বলা হয়েছে বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র একমুখী। যথেষ্ট বিভ্রান্তিকর। এই তথ্যচিত্র মুসলিম সংখ্যালঘু আর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সম্পর্কিত। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, শুধু বিবিসির সিরিজ নয় গোটা বিষয়ের ওপর ভিত্তি করেই এই চিঠি লেখা হয়েছে।
অন্যদিকে, ডেরেক ও ব্রায়েন জানান, যাঁদের ট্যুইট ব্লক করা হয়েছে, তাঁদের কাছে ট্যুইটারের পক্ষ থেকে ইমেল পাঠানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপ ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। মেলের স্ক্রিনশর্ট ট্যুইটারে পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “আমার টুইট ব্লক করার আগেই বহু মানুষ সেই টুইট দেখে নিয়েছেন। সংখ্যালঘুদের প্রতি নরেন্দ্র মোদির ঘৃণা প্রকাশ পেয়েছে এক ঘণ্টার এই তথ্যচিত্রতে। বিরোধীরা সবসময় লড়াই জারি রাখবে।”
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমণ শানালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। এক টুইট বার্তায় তিনি লেখেন, ‘ভারতে কেউ যাতে বিবিসির শো দেখতে না পারে তা নিশ্চিত করার জন্য সরকার যেন যুদ্ধে নেমেছে। লজ্জা লাগে যে বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের সম্রাট ও দরবারীরা এতটাই নিরাপত্তাহীন।’
এদিকে এই তথ্যচিত্র ইস্যুতে যখন সরগরম টুইটার তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নেমেছে বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে বলেন, ‘এই তথ্যচিত্রটির পিছনে নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা রয়েছে।’ মোদি সম্পর্কিত বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে কেন্দ্রের কড়া অবস্থানে বেশ সরগরম যে রাজনৈতিকমহল তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন