আজ রানাঘাটে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার প্রধান বিষয় ছিল সিএএ। মোটামুটি সফল আজকের সভা। গত লোকসভা ভোটের আগে থেকে সিএএ নিয়ে বিবাদ চলছে কেন্দ্রের সাথে রাজ্যর। বিজেপি যখন দেশব্যাপী সিএএ-র সমর্থনে সুর চড়াচ্ছে তখন তৃনমূল সরকার সিএএ-র ভিত্তিহীনতা বোঝাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এদিনের সভায় অভিষেক বললেন, ‘গত কয়েক বছরে আমাদের ভুল ত্রুটি হলে আমাকে এবং আমার দলকে ক্ষমা করুন। ঘরের ছেলেকে শাসন করুন কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেবেন না।‘ মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ নীতির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর ৭০ বছর ধরে যেই দেশে সম্মানের সঙ্গে মানুষ বাস করছেন, সেই দেশে তাঁকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হবে এখন? আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড সবকিছু থাকার পরও কেন্দ্র থেকে দেওয়া ছাড়পত্রের উপর কেন মানুষের দেশের পরিচিতি নির্ভর করবে? এটি খুবই অপমানজনক। আপনারা যদি অবৈধ হন, তাহলে তো গ্রামপঞ্চায়েত, সরকার সবই অবৈধ।‘ এ ব্যাপারে অসম প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার অসমের ১৯ লক্ষ মানুষকে বিতাড়িত করেছে যাদের মধ্যে ১২ লক্ষ মানুষ হলেন হিন্দু বাঙালি। তাঁদের ঠাঁই এখন ডিটেনশন ক্যাম্পে।
একইভাবে মোদী সরকার আপনাদের প্রতারিত করার চেষ্টা করছে।‘ পাশাপাশি তিনি নদীয়ায় বিভিন্ন সময় ঘটা তৃণমূলের গোষ্টী বিবাদ প্রসঙ্গে নিজের দলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন ‘ভোট অবাধ হবে, কেউ গুন্ডামির চেষ্টা করলে ১ ঘণ্টার মধ্যে দল থেকে বার করে দেব। একইসঙ্গে জানিয়ে দিলেন, ‘ ৬ মাস অন্তর কলকাতা থেকে আসা আর যোগ্যদের জায়গা না দিয়ে তল্পিবাহকদের স্থান দেওয়া, এসব চলবে না। পাশাপাশি নদীয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাঁতশিল্পের ওপর মহাজনের দাপট, অত্যন্ত কম রোজগার এবং পরিকাঠামোগত বিভিন্ন সমস্যায় তাঁতিদের দুর্দশার ব্যাপারে সরব হন তিনি। এছাড়াও দুর্নীতির অভিযোগে সভামঞ্চ থেকে তাতলা-১ প্রধানকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন অভিষেক।
আরও পড়ুন