শুক্রবার সকালে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরে মা তারার পুজো দিতে দেখা গেল বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। এদিন তাঁর সঙ্গে পুজো দিয়েছেন দিলীপ ঘোষও। এদিন দুই নেতাকেই পুজোর সামগ্রী মাথায় করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। পুজো সম্পন্ন হওয়ার পরেই সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান,মা তারার কাছে তিনি বাংলাদেশে পুনরায় শান্তি ফিরে আসার প্রার্থনা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি জানান পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও যেন বাংলাদেশের মত না হয় এই প্রার্থনাও তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি জানান, এভাবেই প্রতিটি জেলায় উপনির্বাচনের প্রচার চালিয়ে যাবেন তিনি এবং আগামীকাল নদিয়ার শান্তিপুরে বিজেপির উপনির্বাচনের প্রচার করবেন। গতকাল কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সরকারী কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করলেও এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার এবিষয়ে মুখ খোলেনি। এই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে সুকান্তর দাবি, “রাজ্যের অর্থনীতি সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর কোনো ধারণা নেই।”
এছাড়াও তৃণমূল সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের কথা তুলে সুকান্তর বক্তব্য,লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প বেশিদিন চলবে বলে অন্তত তিনি মনে করেন না। এমনিতেই দুয়ারে রেশন প্রকল্প নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে রেশন ডিলারদের মধ্যে। ভোট পরবর্তীকালে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়েও এদিন মুখ খোলেন বিজেপির সভাপতি। তিনি জানান,”বিজেপির মধ্যে একটিই গোষ্ঠী থাকে। সামান্য মতবিরোধ থাকতেই পারে।কারণ বিজেপিতে এখনও গনতন্ত্র রয়েছে। একা দিলীপ ঘোষ বা সুকান্ত মজুমদারের কথায় দল চলে না। প্রত্যেকের স্বাধীনতা আছে।” তৃণমূলের গোয়া ও ত্রিপুরায় সংগঠন বৃদ্ধিকে লক্ষ্য করে দিলীপের কটাক্ষ,”রাজ্যের লক্ষ্মীদের রাস্তায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের এখন লক্ষ্মীছাড়া অবস্থা, ভাঁড়ে মা ভবানী। ত্রিপুরায় বিজেপি আছে বিজেপি থাকবে।”