করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে রক্ষা পায়নি ব্রাজিল,তাই গণ টিকাকরণের উদ্দেশ্যে অগ্রগামী হয়েই ভারত বায়োটেকের কাছ থেকে কোভ্যাকসিন আমদানি করছে ব্রাজিল। আমদানি করা হবে স্পুটনিক’ ভিও। দীর্ঘ সময় ধরে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তির পেরিয়ে একগুচ্ছ শর্তের পরে পাওয়া গেছে বিদেশে রফতানির অনুমতি। যদিও গত ২৬ ফেব্রুয়ারিই ব্রাজিলের সঙ্গে ২ কোটি টিকা রফতানির চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত বায়োটেক সংস্থা। তবে সেই রপ্তানি সম্পন্ন হয়নি সময় মত। কারণ সে সময় ব্রাজিলের জাতীয় স্বাস্থ্য সার্ভিল্যান্স এজেন্সি আনভিসা , কোভ্যাক্সিনের আমদানি অস্বীকার করেছিল।
তাঁদের দাবি ছিল ভারতে তৈরি কোভ্যাকসিন গুড ম্যানুফ্যাকটারিং প্র্যাকটিসের শর্ত পূরণ করে না। সেক্ষেত্রে টিকার কার্যকরিতা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়। তবে সমস্ত বাধা বিপত্তি কাটিয়ে শেষ পর্যন্ত ব্রাজিলে টিকা রপ্তানির ক্ষেত্রে গ্রিন সিগন্যাল পেল ভারত বায়োটেক। তবে, সূত্র মোতাবেক পাওয়া তথ্য অনুসারে জানতে পারে গেছে আনভিসের অনুমোদন অনুযায়ী ভারতের কাছ থেকে প্রথমে চার মিলিয়ন ডোজ গ্রহণ করবে ব্রাজিল। তারপরে চলবে টিকাকরণ,পরবর্তীতে সেই সমস্ত তথ্য পর্যালোচনা করেই পুনরায় টিকা আমদানি করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ব্রাজিল সরকার।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ব্রাজিলের পাশাপাশি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে জেরবার হয়েছে ভারত। বর্তমানে ভারত নিজের দেশের টিকাকরণ সম্পন্ন না করার পিছনে কারণ যথার্থ টিকার মজুদ না থাকা, ঠিক যে কারণে প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মৃত্যু হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের। আর সেই পরিস্থিতিতেই ভারত বায়োটেকের তরফ থেকে বিদেশে রপ্তানির বিষয়টিকে ঠিক কী চোখে দেখছে দেশের বিশেষজ্ঞমহল এখন দেখার বিষয় সেটি।