তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে রাজ্যবাসীর জন্য মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে দু’লক্ষ ভ্যাকসিন কিনলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন শুরু হওয়ার আগেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে জানিয়েছিলেন ক্ষমতায় এলেই বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দেওয়া হবে রাজ্যবাসীকে। আর তাতেই ভরসা করে তৃতীয় বারের জন্য তাঁকে ক্ষমতায় এনেছেন রাজ্যবাসী। এবার ঋণশোধের পালা। নিজের প্রতিশ্রুতিতে বদ্ধপরিকর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ইতিমধ্যেই রাজ্য কোষাগার থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে রাজ্যবাসীর জন্য ৫ লক্ষ করোনা টিকার বরাত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই মতই আজ সকালে রাজ্য পৌঁছেছে ২ লক্ষ কোভ্যাক্সিন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগেও বহুবার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে জানিয়েছেন, যে কেন্দ্রের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় , অর্থ ব্যয় করে টিকা কিন্তু চাইলেও পাওয়া যায়নি টিকা। কিছুদিন আগেই রাজ্য সরকারের জন্য নির্ধারিত অর্থের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল আর সেই তালিকা অনুসারে কোভিশিল্ডের প্রতি ভায়ালের দাম ৪০০ টাকা আর কোভ্যাক্সিনের প্রতি ভায়ালের দাম ৬০০ টাকা ধার্য করা হয়। গড়ে ভায়াল পিছু ৫০০ টাকা দামে কোভ্যাক্সিন কিনল রাজ্য। কিছুদিন আগেই রাজ্যের কঠিন পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই প্রেক্ষিতেই তিনি আবারও লেখেন, ‘২৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিন কিনতে চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম আপনাকে। বিনামূল্যে রাজ্যবাসীর টিকাকরণ শুরু করতে চেয়েছিলাম। এখনও কোনও সাড়া পাইনি। এই মুহূর্তে হাসপাতালে শয্যা, অক্সিজেন, ওষুধ এবং ভ্যাকসিনের ঘাটতি যে ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করেছে, তার জন্য ফের লিখছি।’’ সরকারি সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালে ইতিমধ্যেই করোনার প্রথম ডোজের জন্যই টিকা পাওয়া যাচ্ছে না, সেই কারণেই এই মুহূর্তে বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে টিকাকরণের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার।