মৃত্যু মানেই শোক। তবে সব মৃত্যুই বোধহয় শোকের হয় না। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এ আবার কেমন কথা, তাই না? ঘটনা খোলসা করে বললেই স্পষ্ট হবে। দিঘার চন্দ পরিবারের সবচেয়ে বড় সদস্যের বয়স ১২০ বছর। অবাক হলেও, পরিবারের দাবি এমনটাই।

তবে সেই বয়স্ক সদস্য আজ প্রয়াত। তাতে কি? পরিবারের পুরনো সদস্যকে হারিয়ে শোকে না ভেঙে পড়ে মৃত্যুকে রীতিমত সেলিব্রেট করলেন চন্দ পরিবারের সদস্যরা। মৃতার নাতি সুনীল চন্দ বলেন, মৃত্যু হয় দুঃখের কিন্তু এই মৃত্যু আনন্দের কারণ দিঘার বুকে এত বেশি বয়স্ক মানুষ নেই, তার ওপর এই পরিবারেও এত বছর পর্যন্ত কেউ বাঁচেননি। তাই দিদার মৃত্যুতে শোককে দূরে সরিয়ে খুশির মেজাজ বজায় রাখা হয়েছে।
দিঘার শিমুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মাহেশ্বরী চন্দ। তাঁর নাতির সংখ্যা ৫৬ জন। সব মিলিয়ে পরিবারের সদস্য ১২০ জন। এদিন মাহেশ্বরীদেবীর মৃত্যুতে অভিনব উপায়ে শেষযাত্রায় সামিল হন পরিবারের সদস্যরা। রাস্তায় ছড়ানো হয় ফুল ও আবীর, ফাটানো হয় আসত বাজি। সেইসঙ্গে চলল ব্যাণ্ড সহযোগে পরিবারের সদস্যদের নাচ। তবে এমন অভিনব শবযাত্রা দেখতে রাস্তায় ভিড় জমান স্থানীয় মানুষরা। সেইসঙ্গে তারা খানিকটা হতবাকও বটে।