আজ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১ তম জন্মজয়ন্তী। আর আজকের দিনেই চর্চার মূল বিষয় হয়ে উঠেছে ‘নোবেল চুর’। একই রাজ্যে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নোবেল চুরি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ। অন্যদিকে এই নোবেল চুরি নিয়েই আলটপকা মন্তব্য করে বসলেন তৃণমূলেরই এক নেতা। আজ রাজ্য এবং কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় নানান রকম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকালে আকাশের মেঘ ভার হয়ে এলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘ কেটে হাসি ফুটতে শুরু করেছে। এই আবহাওয়াতেও যতটা সম্ভব নিজেদের মত করেই সবাই বাঙালির গৌরব কবি রবীকে প্রণাম জানাতে ব্যস্ত। আজ রবীন্দ্র সদনে ররীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আয়োজিত হয় অনুষ্ঠান। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, ব্রাত্য বসু এবং আরও বহু বিশিষ্টজনেরা। আর এই অনুষ্ঠানেই নোবেল চুরি প্রসঙ্গে একরাশ দুঃখপ্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট আমলের ঘটনা। সিবিআই তদন্ত করছিল। তদন্ত প্রক্রিয়া সম্ভবত সিবিআই ক্লোজ করে দিয়েছে। নোবেল উদ্ধারই হল না, এটা লজ্জার।” এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা যেটা পেলাম, সেটা কেউ নিয়ে নিল, হারিয়ে দিল। এটা বড় অসম্মানের। এটা ভীষণ গায়ে লাগে। তবে মনে রাখবেন, একটা নোবেল প্রাইজ গেলেও রবীন্দ্রনাথকে কোনওদিন ভোলা যাবে না। কবিগুরু একজনই হন।” আবার অন্যদিকে বিশ্বকবিকে নিয়ে আলটপকা মন্তব্য করে বিতর্ক বাড়ালেন ভাতারের তৃণমূল বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলে ওঠেন, ”রবীন্দ্রনাথকে নোবেল দিয়ে অপমান করা হয়েছিল, তাই বাংলার ছেলেরা নোবেল চুরি করেছে। আর সিবিআইও তার কিনারা করতে পারছে না।” এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই অবশ্য আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাইও দেন তিনি। তাঁর দাবি, ওই মন্তব্য নিছক মজা করেই নাকি বলেছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তারপর ১৮ বছর আগে সেটি চুরি যায়। এবং এই ঘটনার তদন্তভার পায় সিবিআই। এখন বিশ্বের রবীন্দ্র-অনুরাগীরা বিশ্বভারতীতে এসে দেখতে পান নোবেল পদকের রেপ্লিকাটি। আঠারো বছর পার হয়ে গেলেও তদন্ত শেষ করে চুরি যাওয়া নোবেল পদকটি উদ্ধার করে দিতে পারেনি সিবিআই । যদিও এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকেরা।