ক্রমাগত বেগতিক হয়ে চলেছে আরজিকরের অবস্থা। তবে এবার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে, হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের উপস্থিতিতে, আরজিকরের ইন্টার্নদের প্রতিশ্রুতি মত কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টে তরফে প্রকাশিত শুনানিতে জানানো হয়েছে, “ছাত্রদের আন্দোলনের অধিকার খর্ব করতে চাইছেনা আদালত। তবে এমন কিছু করা যাবে না যাতে হাসপাতালে পরিষেবা এবং শান্তি ক্রমাগত বিঘ্নিত হতে থাকে।” শুধু তাই নয় পাশাপাশি আগামী ২৯ শে অক্টোবর স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে দেখা করবে ছয় সদস্যের দল, এমনটাই জানানো হয়েছে হাইকোর্টের তরফে। ওদিকে ক্রমাগত অনশনের ফলে ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থার ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। পাশাপাশি অবনতি ঘটেছে হাসপাতালের সাধারণ অবস্থার। তবে দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরও হাসপাতাল এবং ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কে বিশেষ কোনও উন্নতি না ঘটার কারণে এবার হাইকোর্টের তরফ থেকে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ছাত্র-ছাত্রীদের তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করার পাশাপাশি তাদের অনশন প্রত্যাহারের জন্য আবেদন জানান বিচারপতিরা। শুধু তাই নয় আজ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলার প্রসঙ্গেই এজলাসেই ফোন ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় আদালতে। তবে এত সহজেই আন্দোলন থেকে পিছু হটতে নারাজ ছাত্রছাত্রীরা। জানা যাচ্ছে আগামী দিনেও তাদের এই সিদ্ধান্তে অনড় থাকলে চলেছেন তাঁরা। পাশাপাশি হাইকোর্টের থেকে এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।