নিজস্ব সংবাদদাতা,হাওড়া: গত,১১ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ছাত্র ও যুব সংগঠনের ডাকে নবান্ন অভিযানে গিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা তথা সিপিআইএম কর্মী দীপক পাঁজা। দীর্ঘ ২৩ দিন পর অবশেষে গত শুক্রবার ১০ টা নাগাদ দক্ষিণ পূর্ব রেলের বর্ধমান শাখার ,বালি স্টেশন চত্বরে উদ্দেশ্যেহীন ঘোরাঘুরি করতে দেখে সন্দেহ হয় দলীয় এককর্মী খবর দেয় বালি বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে। স্থানীয় নেতৃত্বের চেষ্টায় হাওড়ায় দীপককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বামফ্রন্টের সদর কার্য্যালয় হাওড়ায়। দলীয় কার্য্যালয়ে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার পাশাপাশি শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাওড়া জেলা সদর হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে হাওড়া জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ জানানোর তেইশ দিন পরেও দলীয় কর্মীর খোঁজ দিতে পুলিশ ব্যর্থ বলে দাবি করার পাশাপাশি নিরুদ্দেশ কর্মীকে উদ্ধার হওয়ায় দলীয় কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব।
যদিও এই ঘটনাকে বিষয়টি অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে করছেন বিরোধীপক্ষ। কোন একজন ব্যক্তির পক্ষে এতদিন পর্যন্ত নিরুদ্দেশ থেকে সুস্থ থাকা সম্ভব নয় ।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে সদর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বের দাবি -” এই ঘটনা জানান দিচ্ছে বামেদের পুরানো জমি পুনঃরুদ্ধারের জন্য সম্পূর্ণ নাটক করছে। কলকাতার যেপ্রান্ত থেকে উনি নিরুদ্দেশ হন সেখান থেকে বালি পর্যন্ত অসংখ্য সিসিটিভি ক্যামেরা আছে কোথাও কোন ছবি পাওয়া গেছে কী না সেটা যেমন পুলিশ তদন্ত করবে,তেমনি একজন ব্যক্তি এতদিন কীভাবে খাওয়া ছাড়া এতদিন সুস্থ অবস্থায় আছেন। আর খাওয়াদাওয়া করলে অর্থযোগান কীভাবে হল?একটা মানুষ রাস্তায় ঘুরে বেরালো আর সমস্ত সংবাদ মাধ্যমে প্রচারের পরেও কারোর নজরে এলো না কীভাবে?
পুলিশ তদন্ত করলে সব স্পষ্ট হয়ে যাবে”।
হাওড়া সিটি পুলিশের অন্তর্গত বালি থানার এক আধিকারিকের দাবি-” রাজনৈতিক দলের তরফে কোন তথ্য আসেনি। ঘটনাটা শুনেছি। দীপককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি পুরো ঘটনার তদন্ত হবে।তিনি স্বেচ্ছায় কোথাও গিয়েছিলেন নাকি তাঁকে কেউ নিয়ে গিয়েছিল, দীপককে উদ্ধারের পর ভোটের আগে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।