বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন বেশ কয়েকটি পর্যায় অতিক্রম করে এসেছে এখন প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর উঠে আসছে কোন না কোন প্রান্ত থেকেই এরইমধ্যে বেলগাছিযায় হামলার ঘটনা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন, “তৃণমূল শেষ কেল্লা বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রতিবার গুন্ডা দিয়ে, দুষ্কৃতিকারী, সমাজ বিরোধী হয়ে ভোট করিয়ে এসেছেন এতদিন। কলকাতার ভদ্রলোকেরা বোম পড়লে বাড়ির বাইরে বের হন না। তাই তাঁদেরকে ভয় দেখিয়ে ভোট দান থেকে বিরত রাখার চেষ্টা চলছে । নির্বাচনে জঙ্গলমহল থেকে ডুয়ার্স পর্যন্ত কোথাও এবার বোম বন্দুক দেখিয়ে ভয় পাইয়েও ভোট আটকাতে পারেনি তৃণমূল । যা বোমা বন্দুক ছিল তা শেষ করে ফেলেছে, খুনও করেছে তবু কাউকে আটকাতে পারেনি। মানুষ ভোট দিয়েছে। “
বিজেপির তরফ থেকে আশা রাখা হচ্ছে কলকাতার মানুষও সাহসের সাথে বাইরে বেরিয়ে ভোট দিতে যাবেন। কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো নিয়ে – কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ভয় দেখাচ্ছেন বলে যে অভিযোগ করছেন তৃণমূল,তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূল বিজেপির প্রার্থীদের মারধর করছে। এখনও পর্যন্ত ২৮ জন প্রার্থীকে মারা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁরা সকলেই জিতবে বলে তাঁর দাবি। জঙ্গলমহলে মারা হয়েছে। মালদার প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ। এসব করে বিজেপিকে আটকানো যাবে না বলে জানান।
অর্জুন সিং- এর নিরাপত্তারক্ষীর গুলি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাস্তায় নেমে কাউকে আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার অধিকার আছে প্রত্যেকেরই। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে এই কারণেই বন্দুক আছে বলে জনান তিনি।এন্টালীর সংঘর্ষ নিয়ে তাঁর বক্তব্য – একাধিক জায়গায় এই ঘটনা ঘটেছে। তাঁর অভিযোগ পুলিশ আর তৃণমূলে এখন কোনো ফারাক নেই। আমরা এসে পুলিশের মেরুদণ্ড লাগিয়ে দেব। যাতে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে তাঁরা। প্রশাসনিক মহলকে আরও বেশি শক্ত হতে হবে রাজ্যের আইন ভার সঠিকভাবে পালন করার জন্য।
তিনি বলেন বাংলার মহিলারা অত্যাচারিত হয়ে মমতা ব্যানার্জিকে সিংহাসনে বসিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা যেভাবে অত্যাচারিত তাতে তাঁরাই তাঁকে সিংহাসন চ্যুত করবেন বলে দাবি করছে বিজেপি। এখনও পর্যন্ত ২২৩ টি আসনে ভোট হয়েছে এরমধ্যে বিজেপি ১৬০ পেয়ে গিয়েছে। বাকি ২টি ফেজে ২০০ হয়ে যাবে বলে জানান তিনি। তাঁর মন্তব্য খেলা শেষ। কেন্দ্রীয় বাহিনী ফের গুলি চালাবে কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন বুদ্ধি থাকলে বুঝে নিন। তবে তাঁর এই শেষ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ঠিক কী ইঙ্গিত দিতে চাইলেন তিনি? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে এখানেই।