কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ৯টা ১২ মিনিট নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর ৩-এ গেটের কাছে হঠাৎ আগুন লাগে। ধোঁয়ায় ভরে যায় গোটা চত্বর। যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছন বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা। বিমানবন্দরের পাঁচটি এবং দমকলের চারটি ইঞ্জিন আধ ঘণ্টা চেষ্টায় ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত দমকলের দুটি ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে যায় আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিপর্যয় মোকাবিলা দলও।কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এখনও সরকারি ভাবে পর্যন্ত আগুন লাগার কোনও কারণ জানাননি। তবে সূত্রের খবর, যাত্রীদের সামগ্রী বহনের ‘কনভেয়ার বেল্ট’-এ কোনও ভাবে শর্টসার্কিট হয়ে আগুন লেগে থাকতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, রাত ৯টা ২০ নাগাদ বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর ৩-এ গেটের কাছে চেকিংয়ের জায়গায় ১৬ নম্বর ডিপার্চার কাউন্টারের পাশ থেকে হঠাৎ ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বিমানবন্দর চত্বরে। তড়িঘড়ি সমস্ত যাত্রীদের নিরাপদ স্থান সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। আগুন লাগার ফলে বিমানবন্দরে ভিতরে ধোঁয়ায় ভরে যায়। তবে এদিন অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। রাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে কোথাও পকেট ফায়ার রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।
বিমানবন্দর স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত হাই সিকিউরিটি জোন। সেখানে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যাত্রীদের অনেকের কাছেই ভারী লাগেজ ছিল। মহিলা, শিশু, বয়স্কদের মধ্য়ে আতঙ্ক ছড়ায়। তবে দ্রুত বিমানবন্দরের ডিপার্চার সেকশন থেকে তাদের বাইরে বের করার কাজ শুরু করে দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। দমকলের অন্তত ৮টা ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে আসে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, মুখে মাস্ক পরে ভেতরে ঢোকেন কর্মীরা। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। তবে অভিযোগ উঠছে যেখানে আগুন লেগেছিল সেখানে স্বয়ংক্রিয় আগুন নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল না। তবে এনিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।