নিজস্ব সংবাদদাতা : সোমবার সকালে নারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের হেভিওয়েট চার নেতা তথা পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। এর প্রতিবাদেই গ্রেফতারির কিছুক্ষণের মধ্যেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। যার ফলে কার্যতই রণক্ষেত্রের আকার নিয়েছে বাংলা। বিক্ষিপ্ত বিক্ষোভ ও ঝামেলার ছবি দেখা যাচ্ছে জেলায় জেলায়।
সকাল থেকেই বিক্ষোভ চলছে নিজাম প্যালেস এবং রাজভবনের সামনে। নিউটাউনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কুশপুতুল দাহ করেন তৃণমূল কর্মীরা, পোড়ানো হয় টায়ারও। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া বাজারে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয় সকাল থেকেই। ঘন্টা খানেক অবরোধ চলার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি। অবরোধ করা হয় কাঁথি সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডও। বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে পুরুলিয়াতেও। পুরুলিয়া শহরে রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃনমুল সমর্থকেরা।
রাজ্যজুড়ে চলছে কার্যত লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত সমস্ত বিধিনিষেধ ভেঙে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। নিজাম প্যালেসে ধর্ণায় বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।পরিস্থিতি ঠিক না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, নারদা কান্ডে নাম জড়িয়েছিল মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর মতন তৃণমূল ত্যাগী বিজেপির হেভিওয়েট নেতাদেরও। কিন্তু আজ সিবিআই গ্রেফতার করেনি তাঁদের। তাহলে কি বিজেপিতে যোগ দিয়ে ‘সিবিআই ভ্যাক্সিন’ পেয়ে গেছেন তাঁরা, বিভিন্ন মহলে উঠছে এমনই প্রশ্ন।