নির্বাচনে লড়তে চাওয়ার জন্য পেতে হল শাস্তি । প্রথমে কেড়ে নেওয়া হল চাকরি আর তার পরেই গ্রেফতারি । প্রাক্তম আইপিএস অফিসার অমিতাভ ঠাকুরকে চ্যাংদোলা করে তোলা হল পুলিশের গাড়িতে । অভিযোগ তিনি নাকি কোনও এক মহিলাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছেন । যদিও এফআইআরের কপি দেখাতে পারেনি গ্রেফতার করতে আসা পুলিশ কর্মীরা । এই বছরই মার্চে অদক্ষতার তকমা লাগিয়ে তাঁকে সাসপেন্ড করা হলে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকারের বিরুদ্ধে নতুন দল গঠন করে ভোটে দাড়াবার ঘোষণা করেছিলেন অমিতাভ । ‘অধিকার সেনা’ নামে দলটির নামও দিয়েছিলেন । তবে তার আগেই এই ঘটনা ।
উল্লেখ্য যে মহিলা অমিতাভর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি তার বন্ধুকে নিয়ে গত ১৬ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের বাইরে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন । পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয় । আত্মহত্যার ঠিক আগের মুহূর্তে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ২০১৯ সালে বিএসপি সাংসদ অতুল রাই তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। ঘটনার পরে পুলিশ তাঁকে নানাভাবে উত্যক্ত করেছিল। যার মূল ষড়যন্ত্রের পেছনে এই প্রাক্তন আইপিএসই রয়েছেন বলেই তিনি জানিয়েছিলেন । বিরোধী নেতা সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব তাঁকে পাঁজাকোলা করে গাড়িতে তোলার ভিডিওটি টুইট করেন । পাশাপাশি বিজেপি সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ পুলিশের যথেষ্ট নিন্দাও করেন ।