ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা নিয়ে নাটক
করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার মেয়ো রোডে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে তৃণমূলের ধরনা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হামলা প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, পরিকল্পনা করে ঘটানো হয়েছে এই ঘটনা। নইলে ছবি উঠল কী করে?
এদিন বিজেপিকে কটাক্ষের সুরে মমতা বলেন, ‘ এ রাজ্যে যে কোনও দিন চাড্ডা, নাড্ডা, ফাড্ডা, গাড্ডা, ভাড্ডা চলে আসছে। একা সভা করবে, কেউ আর করবে না। আর সভায় লোক না হলে নিজে সাজিয়ে রাখবে কী করে ন্যাশনাল নিউজে ভাল করে দেখায় যে দেখো আমায় মেরেছে। আহা রে…’
বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তুলে মমতার প্রশ্ন, ‘তোমার পিছনে ৫০টা গাড়ি কেন যায়? আমার ৩টে গাড়ি যায়। তোমার ৫০টা গাড়ির কনভয়। তার মধ্যে আবার প্রেসের কনভয় ৩০টা। তার মধ্যে বাইকের কনভয় আবার ৪০টা। তাহলে কে দেখছিল রাস্তায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে? তার মানে কি প্ল্যান করা ছিল? ছবিটা কী করে তুলল,ভিডিয়োটা কী করে তৈরি হল? এত তাড়াতাড়ি সব হয়ে গেল। ইউ আর সো স্মার্ট। মনে হচ্ছে স্যাটালাইট থেকে কাজ করছে। আমি পুলিশকে বলেছি পুরোটা তদন্ত করছে’। মমতার দাবি, দিল্লি গিয়ে বারবার বিজেপির বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে।
অন্যদিকে, ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছ থেকে এই রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগেই হামলার ঘটনায় টুইটে তোপ দেগে তিনি লেখেন, “আজ পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি নাড্ডাজির ওপর যে আক্রমণ হয়েছে সেটি খুবই বর্বরোচিত ও নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই আক্রমণকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। পাশাপাশি, হামলার ঘটনায় রাজ্য পুলিসকে দুষে কড়া ভাষায় তোপ দাগেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। টুইটে ধনখড় লেখেন, “এঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। নৈরাজ্য ও আইন-শৃঙ্খলার অবনতি।